স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৬৯ সালে স্কুলের ওই দোতলা ভবনটি নির্মিত হয়। সেই থেকে ভবনটিতে ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠন চলে। এ ছাড়া সেখানে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বসার ঘর, কম্পিউটার রুম, ল্যাবরেটরি রয়েছে। পুরনো এই ভবনটির পাশে আরও দু’টি নতুন ভবন রয়েছে। স্কুলের ২ হাজার ৪৬০ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৭০০ ছাত্রছাত্রী পুরনো ভবনটিতে ক্লাস করে। দীর্ঘদিন ধরে পুরনো ভবনটির কোনওরকম সংস্কার করা হয়নি। ফলে দেওয়াল জুড়ে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। এরই মধ্যে গত শনিবার স্কুল চলাকালীন ভবনের বারান্দায় প্রায় অনেকটা অংশ জুড়ে ছাদের চাঙড় খসে পড়ে। সেই সময় বারান্দায় কোনও ছাত্রছাত্রী না থাকায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই ভবনে ক্লাস করা ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে। এই অবস্থায় ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিরাপত্তার স্বার্থে মঙ্গলবার থেকে ওই ভবনে পঠানপাঠন বন্ধ রেখেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সম্পাদক দেবপ্রসাদ মহাপাত্র বলেন, “এত ছাত্রছাত্রীর পঠনপাঠনের ব্যবস্থা কোথায় করা হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। সমস্ত বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।” দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা প্রজেক্ট অফিসার সুজিত কুমার মাইতি বলেন, “চাঙড় খসে পড়ার খবর পেয়েছি। স্কুল কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে। কী ভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায় সে ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে।” |