কামদাকিঙ্কর স্মৃতি গোল্ড কাপ দাবা প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে শুক্রবার। দু’দিনের এই প্রতিযোগিতায় এ বছর যোগ দিচ্ছে ১৮০টি দল। লালগোলা নবজাগরণ সোসাইটির মাঠে এই উপলক্ষে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী অডিটোরিয়ামও। একই সঙ্গে ৯০টি টেবিলে ৭টি করে রাউন্ড খেলা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এই দাবা প্রতিযোগিতা এ বার তিন বছরে পড়ল। উদ্যোক্তা ক্লাব নবজাগরণ সোসাইটির সম্পাদক রতন ঘোষ বলেন, “এ বারে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী এই দাবা প্রতিযোগিতায় যোগ দিচ্ছে। প্রথম বছরে প্রতিযোগী সংখ্যা ছিল ১২০। দ্বিতীয় বছরে ১৪৮। এ বারে ১৮০ জন। এখনও বেলডাঙা, কান্দি-সহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৮০ জনের আবেদন পত্র জমা রয়েছে। কিন্তু সময়ের অভাবে তাদের নেওয়া যায়নি।” তিনি আরও বলেন, “স্কুল-কলেজে পড়ুয়াদের মধ্যে দাবা নিয়ে উৎসাহ রয়েছে। তাই এ বারে সাধারণ বিভাগের পাশাপাশি ১২ ও ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিযোগীদের জন্য আরও দু’টি বিভাগ চালু করা হয়েছে।
আয়োজক সংস্থার কর্ণধার শ্রেণিক শেঠ বলেন, “এলাকায় জনসংযোগ বাড়াতে কামদাকিঙ্কর স্মৃতি গোল্ড কাপ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় ২০০৮ সালে। সে বছরই প্রথম দাবা প্রতিযোগিতা চালু করার প্রস্তাব ওঠে। তবে এই প্রতিযোগিতা নিয়ে অনেক সংশয় ছিল। তবে গত তিন বছরে এই দাবা প্রতিযোগিতা নিয়ে যে উৎসাহ দেখেছি তা অবাক করেছে। কিন্তু এখনও পরিকাঠামোর কিছু সমস্যা থাকায় সকলকে নেওয়া যাচ্ছে না।”
উদ্যোগী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এ বারের প্রতিযোগিতায় ১২ বছর বিভাগে ৩২ জন এবং ১৬ বছর বয়সীদের বিভাগে ৪০ জন প্রতিযোগী যোগ দিচ্ছে। পাশাপাশি লালগোলা মুক্ত কারার ১৪ জন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিও এই প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে। সাধারণ বিভাগে যোগ দেবে ৯৪ জন। রতনবাবু বলেন, “শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে খেলা শুরু হবে। ৮ জন বিচারক থাকবেন। ৭ রাউন্ড খেলার পরে জয়ী দলের নাম ঘোষণা করা হবে। বিজয়ী দলকে আর্থিক পুরস্কারের সঙ্গে দেওয়া হবে কেকেএম গোল্ড কাপ ট্রফিও। মুক্ত কারার ১৪ জন কয়েদি ফেলবেন সাধারণ বিভাগে। তবে বিশেষ ক্ষেত্র হিসাবে উৎকর্ষতার জন্য তাদের মধ্যে সেরা খেলোয়াড়কে বিশেষ ভাবে পুরস্কৃত করা হবে।” |