|
|
|
|
ময়নায় তরজা সিপিএম-তৃণমূলে |
বীজ-সার নষ্টের নালিশ, ধৃত প্রধান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
সরকারের বরাদ্দ করা বীজ, সার ও কীটনাশক বিলি না করে নষ্ট করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে বুধবার সকাল থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না ব্লকের শ্রীকণ্ঠা পঞ্চায়েতের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন তৃণমূল সমর্থকেরা। সন্ধ্যায় পুলিশ গ্রেফতার করল সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধান সরস্বতী বাইচাকে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই শাসক তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে পুলিশ তাঁদের দলের প্রধানকে গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ সিপিএম নেতৃত্বের। অন্য দিকে, তৃণমূল-শিবিরের দাবি, সিপিএমের প্রধান রাজ্য সরকারের বরাদ্দ করা জিনিস ফেলে রেখে নষ্ট করেছেন। ময়নার বিডিও সুরজিৎ পালেরও বক্তব্য, “পঞ্চায়েত অফিসের সামনের মাঠে বালি চাপা অবস্থায় বীজ, সার ও কীটনাশকের প্যাকেট পাওয়া গিয়েছিল। ব্লক কৃষি উন্নয়ন আধিকারিক ওই সমস্ত জিনিস বাজেয়াপ্তও করেন। জিনিসগুলি সরকারি কি না খতিয়ে দেখা হয়। সরকারি সামগ্রী বিলি না করে নষ্ট করার অভিযোগের তদন্তও হয়। তদন্তের ভিত্তিতে ব্লক কৃষি উন্নয়ন আধিকারিক বিষয়টি পুলিশকে জানান।”
বুধবার সকাল ৯টা থেকেই পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জড়ো হয়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভের জেরে অফিসেই আটকে ছিলেন প্রধান। সেই অবস্থাতেই সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়না ব্লকের ১১টি পঞ্চায়েতের মধ্যে শ্রীকণ্ঠা ছাড়া বাকি ১০টিই বর্তমানে তৃণমূলের দখলে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, সিপিএমের ওই একমাত্র পঞ্চায়েতটির প্রধান রাজ্য সরকারের বরাদ্দ জিনিস বণ্টন নিয়ে পক্ষপাতিত্ব করছিলেন। পঞ্চায়েতের কাছে পাঠানো কৃষি দফতরের বীজ, সার ও কীটনাশক এলাকায় বিলি না করে ফেলে রাখা হয়েছিল। ব্লক তৃণমূল নেতা সুব্রত মালাকারের অভিযোগ, “রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে হেয় করার জন্যই সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধান সরকারের বরাদ্দ বীজ, সার ও কীটনাশক বিলি করেননি। পরে ওই সব জিনিস গোপনে পঞ্চায়েত অফিস-চত্বরে গর্ত করে পুঁতে নষ্ট করা হয়। এলাকার বাসিন্দারা বিষয়টি জানতে পেরেই এ দিন পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান।” সরস্বতীদেবীর অবশ্য বক্তব্য, “আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যরা সকলেই কীটনাশক, বীজ, সার বণ্টন করেছেন। কিন্তু তিন তৃণমূল সদস্যই তাঁদের এলাকার বাসিন্দাদের জন্য বরাদ্দ সরকারি বীজ, সার ও কীটনাশক নিয়ে যাননি। কীটনাশক, বীজ ও সারের বস্তা পঞ্চায়েত অফিসের গুদামে পড়েছিল। সম্প্রতি গুদাম পরিষ্কার করার সময়ে সেগুলি সরিয়ে রাখা হয়।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই তৃণমূল সমর্থকেরা এ দিন গোলমাল বাধায়। প্রশাসনকে দিয়ে মিথ্যে অভিযোগেই গ্রেফতার করিয়েছে।” |
|
|
|
|
|