|
|
|
|
‘ভোটদাতা দিবসে’ নেই রাজনৈতিক নেতারাই |
অনমিত্র সেনগুপ্ত • নয়াদিল্লি |
প্রচার তুঙ্গে পাঁচ রাজ্যে। ভোটারদের সমর্থন পেতে উদয়াস্ত প্রচার করছে দলগুলি। কেউ বলছে জিতলে ল্যাপটপ। কারও প্রতিশ্রুতি, হাতে তুলে দেবে ট্যাবলেট পিসি। চলছে দরজায়-দরজায় কড়া নাড়া। ভোট ভিক্ষা। সকলেরই লক্ষ্য ভোটারদের ‘তোয়াজ’ করা। সব দলেরই দাবি, ভোটারদের সার্বিক উন্নতি ও অধিকার রক্ষা একমাত্র তারাই করতে পারে।
কিন্তু কার্য ক্ষেত্রে?
আজ জাতীয় ‘ভোটদাতা দিবস’। পাঁচ রাজ্যে ভোটের আবহে এই দিনটি পড়ায় নির্বাচন কমিশন ভোটারদের অধিকার নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে তাঁদের দূরত্ব কমিয়ে আনার একটা চেষ্টা করেছিল। কমিশন উদ্যোগী হলেও, ডান হোক বা বাম, ছোট কিংবা জাতীয়, প্রায় সব রাজনৈতিক দল আজকের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়। সকলেরই যুক্তি, বিধাসভা নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন নেতারা, তাই সময় দেওয়া সম্ভব নয়। কমিশনের পক্ষে আজ বিজ্ঞান ভবন প্রেক্ষাগৃহে সামনের প্রথম যে দু’টি সারি রাজনীতিকদের জন্য সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছিল, এর ফলে তা ফাঁকাই পড়ে থাকে। শেষ পর্যন্ত তেলুগু দেশম পার্টির নমনাগেশ্বর রাও ও জম্মুর প্যান্থার পার্টির ভীম সিংহ উপস্থিত হয়ে কোনও মতে মুখ রক্ষা করেন।
গত বছর থেকেই ২৫ জানুয়ারি দিনটি ‘ভোটদাতা দিবস’ হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু আজ যে ভাবে রাজনৈতিক দলগুলি অনুপস্থিত ছিল, তাতে কমিশনের উদ্দেশ্য কতটা সফল হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনও বিতর্ক চাননি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি। তবে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম কিন্তু বলেই ফেলেন, “উপস্থিত সকলকেই ধন্যবাদ দিচ্ছি। এমনকী যারা আসেননি তাঁদেরও ধন্যবাদ দিচ্ছি।” কালামের এই মন্তব্যে জল্পনা শুরু হয়। কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির বক্তব্য, “কে কী কারণে অনুপস্থিত, তা বিচার করে দেখা উচিত।” আর বিজেপির প্রকাশ জাভড়েকর বিষয়টি এড়িয়ে যান। তাঁর সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, “আমি কিছু জানি না। দলের পদাধিকারীরা এ বিষয়ে বলতে পারবেন।” |
|
|
|
|
|