|
|
|
|
|
দলীয় প্রথা ভেঙে মুখ্যমন্ত্রী
পদপ্রার্থী ঘোষণা রাহুলের
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
|
নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করা শতাব্দী প্রাচীন এই দলের রীতি নয়। সাম্প্রতিক অতীতে এমন নজিরও নেই। কিন্তু পঞ্জাব ভোটে কংগ্রেস জিতলে ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহই যে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা আজ প্রকাশ্য জনসভায় ঘোষণা করে দিলেন রাহুল গাঁধী। আর পাঁচ দিন বাদে পঞ্জাবে ভোট। তার আগে এই প্রথম সেখানে প্রচারে গিয়ে রাহুল বলেন, “পঞ্জাবে কংগ্রেস জিতছেই। ব্যবধান কত বেশি হবে এখন সেটাই দেখার। তার পর অমরেন্দ্র সিংহই হবেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী।”
টের পর কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন তার আগাম ইঙ্গিত থাকলেও, ফল ঘোষণার পর বিধায়ক দলের প্রথামাফিক বৈঠক ডেকে তবেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা কংগ্রেসের রীতি। সেখানে দলের প্রচলিত প্রথা ভেঙে রাহুল আচমকা কেন এমন ঘোষণা করলেন? কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রে বলা হচ্ছে, রাহুলের এই ঘোষণা কৌশলগত।
কংগ্রেস ভোটে জিতলে অমরেন্দ্র সিংহের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ষোল আনা সম্ভাবনা আছে। কিন্তু দলেরই রাজ্য নেতাদের একাংশ এই জল্পনা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন যে অমরেন্দ্র নয়, তাঁর স্ত্রী তথা বিদেশ প্রতিমন্ত্রী প্রণীত কৌর মুখ্যমন্ত্রী হবেন। অমরেন্দ্র-প্রণীত সম্পর্কে টানাপোড়েন নিয়ে ভোট মরশুমে জল্পনা-রটনা এমনিতেই অব্যাহত। তার উপর প্রণীতের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষোয় কংগ্রেসের যে ক্ষতি হচ্ছিল তা নিয়ে সংশয় নেই। তাই যাবতীয় জল্পনায় ইতি টানতে চাইলেন রাহুল। এ ছাড়া, পঞ্জাবে দলের কোন্দল অব্যাহত। এই অবস্থায় রাহুল বুঝিয়ে দিলেন হাইকম্যান্ডের সমর্থন অমরেন্দ্রর দিকে।
কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতাদের মতে, একমাত্র অমরেন্দ্র সিংহেরই গোটা পঞ্জাবে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তাঁর দাপুটে রাজনীতি কংগ্রেসের নিচু তলার কর্মীদের আরও উৎসাহী করে। ফলে রাহুলের আজকের ঘোষণা পঞ্জাবে ভোটের মুখে দলের পক্ষে ইতিবাচক বলে মনে করা হচ্ছে। কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ক্ষেত্রেও রাহুলের ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ। সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সংগঠনে তাঁর ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পুরনো প্রথা একটু একটু করে ভাঙছিলেন রাহুল। সে সাংগঠনিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে হোক বা প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে। আজ আরও একটি প্রথা ভাঙলেন তিনি। |
|
|
|
|
|