টুকরো খবর |
পরমাণু চুক্তির অন্যতম রূপকারকে পদ্মভূষণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আমেরিকার সঙ্গে অসামরিক পরমাণু চুক্তির অন্যতম রূপকার রণেন সেনকে ‘পদ্মভূষণ’ দিল মনমোহন সিংহের সরকার। দিল্লির সরকারি মহলের মতে, গোড়ায় জর্জ বুশ এবং তার পরে বারাক ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে পরমাণু চুক্তিকে দিনের আলো দেখানোর অনেকটা কৃতিত্বই এই বাঙালি সন্তানের। ২০০৪-এর অগস্ট থেকে ২০০৯-এর মার্চ পর্যন্ত যিনি ছিলেন আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত। রণেন্দ্র ওরফে রণেন সেনের জন্ম ১৯৪৪ সালের ৯ এপ্রিল। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ছাত্র। ১৯৬৬-তে আইএফএসে যোগ দেওয়ার পরে বিদেশ মন্ত্রক থেকে দূতাবাস সামলেছেন বহু দায়িত্ব। বিভিন্ন দেশে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতও হয়েছেন একাধিক বার। তবে রণেনের সব চেয়ে বড় কৃতিত্ব অবশ্যই পরমাণু চুক্তি। গোটা বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত থাকা অনেকেরই বক্তব্য, দেশে বিরোধীদের সঙ্গে লড়াইটা যখন চালাচ্ছিলেন মনমোহন সিংহ, প্রণব মুখোপাধ্যায়, তখন আমেরিকার মার্কিন প্রশাসনকে বোঝানোর কাজটি নিঃশব্দে সেরেছেন রণেন। একদা যিনি ছিলেন পারমানবিক শক্তি কমিশনের সচিব। পরমাণু চুক্তি সইয়ের পরে রণেনের মন্তব্য নিয়ে বিতর্কও দানা বেধেছিল এক সময়। এক ঘরোয়া আলোচনায় চুক্তি-বিরোধীদের ‘মুন্ডুকাটা মুরগির মতো দিশাহীন’ আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। তা প্রকাশ্যে আসতেই সংসদের অধিকার ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। রণেন অবশ্য সংসদীয় অধিকার রক্ষা কমিটির সামনে ক্ষমা চেয়ে নেন। বিতর্কেও ইতি পড়ে। পরমাণু চুক্তির এহেন ‘কট্টর সমর্থককে’ আজ পদ্ম সম্মানে ভূষিত করল মনমোহন সরকার, এই চুক্তি যাদের কাছে ছিল মরণবাচনের প্রশ্ন।
|
উচ্চ বর্ণেরই প্রার্থী বেশি বিজেপিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ওবিসি নিয়ে বিজেপি যতই ঢাক পেটাক, তাদের প্রার্থী তালিকা থেকে কিন্তু উচ্চ বর্ণের প্রতি নির্ভরতার ছাপই স্পষ্ট। উত্তরপ্রদেশে সব দলই তাদের প্রার্থী তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে। বিজেপি এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৭০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে ব্রাহ্মণ-ঠাকুর-ভূমিহার-সহ বৈশ্য-কায়স্থ মিলিয়ে দু’শো প্রার্থীই উচ্চ বর্ণের। ওবিসি তাস খেলতে চেয়েই বাবুসিংহ কুশওয়াহাকে দলে নিয়ে এসেছিলেন নিতিন গডকড়ী। উমা ভারতীর মতো ওবিসি নেতাকে রাজ্যে দলের অঘোষিত ‘মুখ’ করা হয়েছে। কল্যাণ সিংহের সরকারকেই ‘মডেল’ করে এগোচ্ছে দল। খোদ উমাও দাবি করছেন, তিনি কল্যাণ সিংহেরই উত্তরসূরি। কিন্তু এত কিছুর পরেও ওবিসি ভোট ঝুলিতে কতটা পড়বে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে দলের। তাই শেষ পর্যন্ত বিজেপির ভরসা কিন্তু পুরনো উচ্চবর্ণ ভোটই। বিজেপির এক শীর্ষ নেতার যুক্তি, উত্তরপ্রদেশে মুসলমান ভোট বিজেপি পাবে না ধরেই নিয়েছে। সে কারণে সকলে যখন সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে কাড়াকাড়ি করছে, বিজেপির তখন বাকি ভোটের দিকেই নজর দেওয়া উচিত। গোটা রাজ্যে সর্বসাকুল্যে এক জন মুসলমানকেই প্রার্থী করেছে দল। উচ্চবর্ণ বিজেপির চিরাচরিত ভোট। গত নির্বাচনে মুলায়মের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে উচ্চবর্ণরা মায়াবতীর আহ্বানে সাড়া দিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করায় তারা এখন মায়াবতীর উপর ক্ষুব্ধ। বিজেপি যে কোনও মূল্যে সেই ভোট নিজেদের ঝুলিতে ফেরত পেতে চাইছে। স্বাভাবিক ভাবেই উচ্চবর্ণের প্রার্থীর দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিজেপির প্রথম তালিকায় ৪০ জনের মধ্যে ২৬ জনই ছিলেন উচ্চ বর্ণের।
|
মাধবন-সহ চার ইসরো-কর্তাকে শাস্তি কেন্দ্রের |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) প্রাক্তন চেয়ারম্যান জি মাধবন নায়ার-সহ সংস্থার চার বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোনও সরকারি সংস্থায় কাজ করতে পারবেন না ওই চার জন। মাধবন ছাড়া অন্য তিন জন হলেন, কে ভাস্করনারায়ণ, কে আর সিদ্ধার্থমূর্তি এবং কে এন শঙ্কর। একটি বেসরকারি সংস্থাকে স্পেকট্রাম ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা সরকারকে ভুল তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই সিদ্ধান্তকে ‘অবিচার’ বলেছেন চন্দ্রযান-১-এর সফল উৎক্ষেপণের অন্যতম রূপকার মাধবন। এ নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেছে বিজেপিও। ২০০৫ সালে এক বেসরকারি সংস্থাকে এস-ব্যান্ড স্পেকট্রাম ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে তাদের সঙ্গে চুক্তি করে ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা অ্যানট্রিক্স। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে দরে ওই সংস্থাকে স্পেকট্রাম ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল ইসরো, তাতে প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হত সরকারের। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই চুক্তি বাতিল করা হয়। মাধবনের অবশ্য অভিযোগ, ইসরোর বর্তমান চেয়ারম্যান কে রাধাকৃষ্ণনই রকারকে ভুল তথ্য দিয়েছেন। ইসরো জানিয়েছে, এ নিয়ে তারা ‘যথাস্থানে’ মুখ খুলবে। মাধবনের দাবি, যথাযথ তদন্তই হয়নি। চার্জশিটও দেওয়া হয়নি। এ ভাবে কারও বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে না।”
|
শু্যটিং রেঞ্জের গুলি ছিটকে বাড়ির ছাদে, অভিযোগ থানায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
বড়সড় অঘটন থেকে বেঁচে গেলেন বিশালগড়ের স্থানীয় বাসিন্দারা। বিএসএফের গোকুলনগর শিবিরের জওয়ানরা সংলগ্ন ফায়ারিং রেঞ্জে প্র্যাকটিস করছিলেন। কিছুটা দূরে বিশালগড়ের অফিসটিলায় স্থানীয় মানুষের ঘন বসতি। প্র্যাকটিস চলাকালীন গত কাল আচমকা ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি এসে আছড়ে পড়ে বিশালগড়ের অফিসটিলার পালপাড়ার কয়েকটি বাড়ির ছাদে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে কয়েকটি বাড়ির চালাও। সংলগ্ন স্কুল মাঠেও গুলি এসে পড়েছে। সে সময় প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে অফিসটিলার নিবেদিতা শিশুকুঞ্জের মাঠে চলছিল মহড়া। মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিশ জানায়, বিএসএফ শিবির থেকে ঘটনাস্থল ৫০০-৬০০ মিটার দূরে। স্থানীয় বিশালগড় থানাও কাছাকাছি এলাকায়। আতঙ্কিত গ্রামবাসাদের একাংশ বিশালগড় থানায় তিনটি বুলেট জমা দিয়ে বিএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে বিশালগড় থানার ওসি স্বপন দাশগুপ্ত জানান। ওসির কথায়, অভিযোগটি পাওয়া মাত্র গোকুলনগরের বিএসএফের ৮৯ ব্যাটেলিয়নের সদর দফতরে যোগাযোগ করা হয়। স্বপনবাবু বলেন, গোকুলনগর ফায়ারিং রেঞ্জে জওয়নাদের প্রশিক্ষণ আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দেওয়ালে ত্রুটি থাকায় হয়তো এ ধরনের গণ্ডগোল ঘটেছে। এ দিকে, বিএসএফের গোকুলনগর সদর দফতরের এক অফিসার, ওমপ্রকাশ বলেন, বিএসএফের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা থানায় যে অভিযোগ করেছেন সে প্রসঙ্গে তিনি অবগত। জওয়ানরা প্রশিক্ষণ চলাকালীন শূন্যে গুলি ছুঁড়লে তা কোনও কোনও সময় সীমানার বাইরে চলে যেতে পারে। কিন্তু মানুষের বসতি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে। ফলে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কী ভাবে ঘটনাটা ঘটল সে বিষয়ে বিএসএফের তরফে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
|
‘ভুয়ো সংঘর্ষ’ নিয়ে রিপোর্ট চায় কোটর্ |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
২০০২ থেকে ’০৬-এর মধ্যে গুজরাতে ‘ভুয়ো সংঘর্ষে’ যাবতীয় মৃত্যুর অভিযোগ খতিয়ে দেখে এম বি শাহ কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলল শীর্ষ আদালত। তিন মাসের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি আফতাব আলম এবং সি কে প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০০২ থেকে ’০৬-এর মধ্যে ‘ভুয়ো সংঘর্ষে’ মৃত্যু মামলার তদন্তে নজর রাখার জন্য গত বছরের এপ্রিলে শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি এম বি শাহকে (এক সদস্যের কমিটি) দায়িত্ব দিয়েছিল মোদী সরকার। ‘ভুয়ো সংঘর্ষের’ ব্যাপারে সাংবাদিক বি জি ভার্গিস এবং কবি-গীতিকার জাভেদ আখতার আদালতে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। ভার্গিসের অভিযোগ, ওই সময়ের মধ্যে পুলিশ ২১টি ক্ষেত্রে ‘ভুয়ো সংঘর্ষে’ হত্যালীলা চালিয়েছে। এর তদন্ত দাবি করেন তিনি। এই ব্যাপারে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-কে দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আখতারও। তাঁর দাবি, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ‘নিরীহ’ সংখ্যালঘুদেরই জঙ্গি সাজিয়ে ‘ভুয়ো সংঘর্ষে’ খুন করা হয়েছে। এই দু’টি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ শীর্ষ আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। বেঞ্চের বক্তব্য, “আমরা চাই তদন্তে প্রতিটি মামলার সত্য উদ্ঘাটিত হোক।” সেই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, জনস্বার্থ মামলার আবেদনে উল্লিখিত ‘ভুয়ো সংঘর্ষের’ বিষয়ে জানার জন্য কমিটি গুজরাত স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) বা অন্য অফিসারদের নিয়ে দল গঠন করতে পারে।
|
মণিপুরে নাগা জঙ্গিদের হানায় জখম ৩ কংগ্রেসি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইম্ফল |
গত কাল তামেংলং জেলায়, মণিপুর প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি, গাইখাংগামের তিন সমর্থককে গুলি করে নাগা জঙ্গিরা। নোনে এলাকায় প্রায় ১০ জনের জঙ্গিদলটি কংগ্রেসের একটি শিবিরে হানা দেয়। গোংগ্লোন, লুংখুরেই ও গোংচুমেই নামে তিন কর্মী তখন একটি ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। কিছু বোঝার আগেই জঙ্গিদের গুলিতে জখম হন তাঁরা। পরে তাঁদের ইম্ফলের রিম্স হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে এনএসসিএন (আইএম) আজ থেকে আগামী কাল সন্ধ্যা অবধি ‘সমস্ত নাগা এলাকায়’ বন্ধ ডাকায় নাগাল্যান্ডের পাশাপাশি পার্বত্য মণিপুরেও অশান্তির আশঙ্কা করছে পুলিশ। পার্বত্য মণিপুর আইএম বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি। নাগাল্যান্ডের দল এনপিএফ এ বার মণিপুরে ভোটে দাঁড়িয়েছে। আইএম জঙ্গি গোষ্ঠী নাগা দলের হয়ে মাঠে নামায় তাঁদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো কংগ্রেস, তৃণমূল, বিরোধী জোট ও বিজেপির প্রার্থীরা নাগা জঙ্গিদের ভয়ে কাঁটা। এই অবস্থায় প্রচারের শেষ দু’দিন বন্ধ ডেকে নাগা জঙ্গি সংগঠনটি পার্বত্য মণিপুরে বাকি দলগুলির প্রচার কার্যত বন্ধ করে দিতে চলেছে। এই পরিস্থিতি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগও জানানো হয়েছে। এ দিকে, গতকাল গভীর রাতে কাকচিং-এর পুরপ্রধানের বাড়িতে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। ঘটনায় কোনও ব্যক্তি জখম না হলেও বাড়ির দুটি পোষা কুকুর ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ভেঙে যায় জানালা ও দেওয়ালের একাংশও। পাশাপাশি, নোংপোক কাকচিং-এই এক কংগ্রেস কর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় একটি আইইডি বোমা। অ্যান্ড্রো ও খাংগাবক এলাকায় পুলিশ উদ্ধার করেছে আরও তিনটি না-ফাটা বোমা।
|
বাসের ধাক্কায় মৃত যুবক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
|
গুয়াহাটির জোনালি এলাকায় ট্রাফিক পোস্টের আগুন নেভাচ্ছে
দমকল কর্মীরা। বুধবার উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি। |
স্কুল বাসের ধাক্কায় গুয়াহাটিতে প্রাণ হারালেন এক মোটরবাইক আরোহী। এই ঘটনাকে ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শহরের জোনালি এলাকা। জনতা স্কুলবাসটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ট্রাফিক পোস্টেও। পুলিশ জনতাকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।পুলিশ জানিয়েছে, আজ সকালে জোনালি এলাকায় একটি স্কুল বাস মোটরবাইক আরোহী অনুপকুমার দাসকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পালাতে গিয়ে বাসচালক একটি সাইকেল ও তিনটি গাড়িতেও ধাক্কা মারে। উত্তেজিত জনতা বাসটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। জু রোড অবরোধ করে। জ্বালিয়ে দেয় ট্রাফিক পোস্টটিও। পরে সিনিয়র পুলিশ সুপার অপূর্ব বরুয়া ঘটনাস্থলে যান। মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বরুয়া জানান, চালক ফেরার।
|
‘চড় মারা’র মন্তব্য ঘিরে বিতর্কে অণ্ণা |
সংবাদসংস্থা • রালেগণ সিদ্ধি |
ফের বিতর্কে অণ্ণা হজারে। গত কাল অণ্ণা মন্তব্য করেছিলেন, “দুর্নীতি সহ্য করতে করতে যখন সাধারণ মানুষের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন সামনে যেই থাকুন না কেন, তাঁকে চড় মারলে মাথাটা অনেকটা শান্ত হয়। এখন একমাত্র এই রাস্তাটাই খোলা রয়েছে।” অণ্ণার এই মন্তব্যের পরেই শুরু হয় বিতর্ক। কংগ্রেসের তরফে দলের মুখপাত্র রেণুকা চৌধুরি বলেন, “এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে অণ্ণার মতো এক জন অভিজ্ঞ মানুষ এ ভাবে হিংসার পক্ষে কথা বলছেন। ওনার নিজেকে গাঁধীবাদী বলা উচিত নয়।” এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিংহ বলেন, “আমি অণ্ণাকে অহিংসবাদী ও গাঁধীবাদী বলে মনে করতাম। কিন্তু এই মন্তব্যের পরে সেই শ্রদ্ধার জায়গাটা উনি হারিয়ে ফেললেন।”কাল রালেগণ সিদ্ধিতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের লড়াই নিয়ে তৈরি একটি হিন্দি ছবির বিশেষ প্রদর্শনী ছিল। সেই প্রদর্শনীর শেষে অণ্ণা এই মন্তব্য করেন। গত বছর নভেম্বর মাসে শরদ পওয়ারকে চড় মারাকে সমর্থন করেও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন অণ্ণা। পরে অবশ্য সেই ঘটনার নিন্দা করেন তিনি।
|
সিআইএসএফ প্রধান রাজীব |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর (সিআইএসএফ) প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হল শীর্ষ আইপিএস অফিসার রাজীবকে। এখন তিনি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এই ঘোষণা করা হয়।
বিমানবন্দর, পরমাণু কেন্দ্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে সিআইএফএস। প্রায় দেড় লক্ষ কর্মী-অফিসার কাজ করেন এখানে। রাজীব, যিনি পদবী ব্যবহার করেন না, ১৯৭৫ সালে উত্তরপ্রদেশ ক্যাডারের অফিসার হিসাবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। ৩১ জানুয়ারি সিআইএসএফের বর্তমান ডিরেক্টর এন আর দাস অবসর নিলে নতুন দায়িত্ব পাবেন রাজীব।
|
মাওবাদী ক্যাডারের আত্মসমর্পণ ওড়িশায় |
সংবাদসংস্থা • পারলখেমুন্ডি |
থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন এক মহিলা জঙ্গি। তবিতা মল্লিক নামে ওই মাওবাদী ২০০৯ থেকে কন্ধমাল এলাকার সদস্য ছিলেন। কন্ধামালের এক পঞ্চায়েত সদস্যকে খুনের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অনেক দিন ধরেই তাঁর খোঁজে ছিল পুলিশ। পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট সার্থক সারঙ্গী জানান, রাজ্য সরকারের নীতি অনুযায়ী তাঁকে সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানান সারঙ্গী। |
|