রাজনগরে সিপিএম নেতা খুনে ধৃতের পুলিশ হেফাজত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
প্রাক্তন’ মাওবাদী অভিযোগে মালদহ থেকে ধৃত মহম্মদ আব্দুল খালেককে সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল সিউড়ি আদালত। রাজনগরের দুই শিক্ষক সিপিএম নেতা খুনে সে অভিযুক্ত। একাধিক খুন ও নাশকতার মামলায় অভিযুক্ত আব্দুলকে মঙ্গলবার ভোরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার খোকরা গ্রাম থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। সে দিন মালদহ আদালত বীরভূম পুলিশকে দু’দিনের ট্রানজিট পারমিটে ধৃত মাওবাদী নেতাকে মালদহ থেকে বীরভূমে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়। বীরভূম পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই তাকে রাজনগর থানায় নিয়ে আসে। |
|
দুবরাজপুরে পর পর ছিনতাইয়ের প্রতিবাদে ব্যবসা বন্ধ। বুধবার ছবিটি তুলেছেন দয়াল সেনগুপ্ত। |
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বীরভূমের রাজনগর, কাঁকরতলা, খয়রাশোল, দুবরাজপুর এবং বর্ধমানের কাঁকসা, পানাগড় এলাকায় ১২ জনের একটি মাওবাদী স্কোয়াডের ছিল। আব্দুল খালেক ওই দলের এক জন সক্রিয় সদস্য ছিল। গত কয়েক বছর ধরে তারা ওই এলাকায় একাধিক খুন ও বিভিন্ন নাশকতা ঘটায়। এর মধ্যে ২০০৮ সালের ২২ এপ্রিল রাজনগরের তাঁতিপাড়ায় খুন হন সিপিএম নেতা শ্রীদামচন্দ্র দাস। তিনি সিপিএমের তাঁতিপাড়া লোকাল কমিটির সদস্য ছিলেন। ওই বছর ২২ সেপ্টেম্বর খুন হন সিপিএমের খয়রাশোল জোনাল কমিটির সদস্য তথা রাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নন্দলাল মিস্ত্রী। মহিষমদ্দিনী জঙ্গলে তাঁকে খুন করা হয়। দু’জনেই স্কুল শিক্ষক ছিলেন। বীরভূমের পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা জানিয়েছিলেন, “ওই দু’টি খুনের ঘটনায় আব্দুল অভিযুক্ত। তাকে জেরা করা হবে।”
সম্প্রতি খয়রাশোল পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ওই মাওবাদী স্কোয়াডের কয়েক জন সদস্য। ওই স্কোয়াডের এরিয়া কমান্ডার বরুণ দাস আত্মসমর্পণ করেন পুলিশ সুপারের কাছে। তার পর থেকে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আব্দুল খালেকের গতিবিধি জানতে পারে। বীরভূম জেলা পুলিশের দাবি, সেই সূত্র ধরে মালদহ পুলিশ আব্দুলকে গ্রেফতার করে। সে এ রাজ্যের মাওবাদী শীর্ষ নেতা বিকাশের ঘনিষ্ঠ বলেও পুলিশের দাবি। |
|