টুকরো খবর
জমি নিয়ে ‘হুমকি’, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বৃদ্ধার
জমি বিক্রি করতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিলেন রবীন্দ্রনাথের জীবনীকার প্রভাত মুখোপাধ্যায়ের পুত্রবধূ সুনন্দা মুখোপাধ্যায়। এ দিকে জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনার নির্দেশে এ দিন বোলপুর থানার পুলিশ ঘটনা তদন্তে যায়। বোলপুর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রভাত সরণির বাসিন্দা বৃদ্ধা সুনন্দা মুখোপাধ্যায় মঙ্গলবার দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, স্থানীয় প্রোমোটার চম্পালাল সুরানা ও তাঁর ছেলে গৌতম সুরানা বসত জমি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য তাঁকে ‘চাপ’ দিচ্ছেন। গত বছর চম্পালাল সুরানা সুনন্দাদেবীর বাড়ি লাগোয়া একটি জায়গা কিনে নেওয়ার পর থেকে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। সুনন্দাদেবীর অভিযোগ , “সেপ্টেম্বর মাস থেকে ওই প্রোমোটার আমাকে বলে আসছেন, আমরা নাকি তাঁর জমি দখল করে আছি। তাঁকে জানাই আমরাই ওই জমির মালিক। তাঁদের কোথাও ভুল হচ্ছে। আমার দুই ছেলের সঙ্গে এ ব্যাপারে তাঁকে যোগাযোগও করতে বলি। কিন্তু তিনি সোমবার লোকজন নিয়ে এসে জোর করে আমার জমির তারের বেড়া ও খুঁটি খুলে ফেলেন। প্রতিবাদ জানালে তিনি এবং তাঁর ছেলে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ভবিষ্যতে বেড়া লাগাতে গেলে পরিণাম ভাল হবে না বলেও হুমকি দেন।” প্রোমোটার চম্পালাল সুরানা অবশ্য বলেন, “আমি কাউকে হুমকি দিইনি। এই সম্পত্তি আমার এবং স্ত্রীর নামে কেনা। বেড়া অন্যায় ভাবে আমার জমিতে ঢুকেছে সে ব্যাপারে আমি বলেছি ঠিকই। কিন্তু জমি বিক্রি করতে বা তাঁকে কোনও হুমকি দিইনি। খুব শীঘ্রই সরকারি কর্মীদের দিয়ে মাপজোক করাব।”

পড়শিকে খুন, জেল দু’জনের
বাঁশ কাটা নিয়ে বিবাদের জেরে প্রতিবেশীকে খুন করায় দু’জনের ছয় বছর কারাদণ্ড হল। রামপুরহাট আদালতের ফাস্ট ট্রাক দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক কুমকুম সিনহা বুধবার ওই রায় দেন। বিচারক ওই মামলায় তাদের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৫ ধারায় তিন বছর ও ৩০৪ ধারায় ছয় বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। দুটি ধারাই একসঙ্গে চলবে বলে তিনি জানিয়েছেন। ঘটনাটি মাড়গ্রাম থানার প্রতাপপুর গ্রামের। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন ফায়জার রহমান ও সাফিজ শেখ। মামলায় অভিযুক্ত ফাকরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি পলাতক। বিচার চলাকালীন পালানোর জন্য ওই ব্যক্তির নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। সরকার পক্ষের আইনজীবী অতীন্দ্রকুমার মণ্ডল জানান, ২০০৬ সালের ২৮ মার্চ রাত ১০টা নাগাদ প্রতাপপুর গ্রামের স্টেশন পাড়ার বাসিন্দা সাইফুল ইসলামকে (৩৫) লাঠি, শাবল দিয়ে মারধর করেন ওই গ্রামের দক্ষিণ প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা ফাকরুল ইসলাম, ফায়জার রহমান ও সাফিজ শেখ। সে দিন দুপুরে সাইফুলের বাড়ি লাগোয়া বাঁশঝাড় থেকে বাঁশ কাটা নিয়ে সাফিজ শেখদের সঙ্গে তাঁর মারামারি হয়। গ্রামের লোকজন মারামারি থামিয়ে দিলেও রাতে সাফিজ শেখরা সাইফুল ইসলামের উপরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৩০ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়। সাইফুলের স্ত্রী সেলিমা বিবি তিন জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

নলহাটিতে খুন
একটি খুনের ঘটনা ঘটেছে নলহাটি থানার সুলতানপুর গ্রামে। বুধবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের একটি বাড়ির ভিতর থেকে পুলিশ এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করল। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম চিত্তরঞ্জন মণ্ডল (৪৫)। ওই গ্রামেই তাঁর বাড়ি। তাঁর পেটে ধারাল অস্ত্রের কোপ ছিল। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ সেখানে পৌঁছয়। মৃতের ভাই আদিত্য মণ্ডল বলেন, “এক পড়শির বাড়িতে দাদা রোজ সন্ধ্যায় গল্প করতে যেতেন। এ দিন সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে গৃহকর্তা ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। পরে খবর পাওয়া যায়, দাদাকে সেখানে খুন করা হয়েছে। গিয়ে দেখি গৃহকর্তা নেই। কারা কী কারনে দাদাকে খুন করল বুঝতে পারছি না।” পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।

কালীমূর্তি উদ্ধার
একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বিল সংস্কারের কাজ চলার সময়ে উদ্ধার হল কংক্রিটের একটি কালীমূর্তি। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর থানা এলাকার মুলুক বিলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর থানার সিয়ান মুলুক পঞ্চায়েত এলাকার সুলুক গ্রামের মুলুক বিল সংস্কারের কাজ চলছিল। প্রকল্পে কাজ করা শ্রমিকরা প্রথমে কংক্রিটের ‘কিছু একটা’ দেখতে পান। পরে তারা মাটি কেটে আস্ত কালীমূর্তিটি উদ্ধার করেন। ঘটনার খবর পেয়ে বোলপুর থানার পুলিশ ওই মূতির্টি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। কংক্রিটের ওই মূর্তি কীভাবে ওখানে পড়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.