স্বামী মারা গিয়েছেন, বিকেল পর্যন্ত তা জানেন না সোমাদেবী। মালদহ সদর হাসপাতালে জখম ছেলে অয়নের পাশেই বসে বারবার স্বামীর খোঁজ নিচ্ছিলেন তিনি। ‘অঘটনে’র আশঙ্কায় কেউ সীমাদেবীকে জানাতে পারছে না, যে তাঁর স্বামী পেশায় গঙ্গারামপুরের চিকিৎসক কমলকান্তি কুমার আর বেঁচে নেই। বড় ছেলে অয়ন গঙ্গারামপুরের একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। একটি স্কুলে ভর্তির পরীক্ষা দিতে কমলকান্তিবাবু ছেলে নিয়ে দুর্গাপুরে যাচ্ছিলেন। ছেলে ও স্বামীর বাস দুঘর্টনার খবর পেয়ে গঙ্গারামপুর থেকে ছোট ছেলে সায়নকে নিয়ে মালদহ সদর হাসপাতালে আসেন সোমাদেবী। সঙ্গে আসেন কয়েকজন প্রতিবেশী, পরিচিতও। স্বামীকে দেখতে না পেয়ে সোমাদেবী চারদিকে তাঁর খোঁজ শুরু করেন। তাঁকে জানানো হয়, গাজল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ডাক্তারবাবু ভাল আছেন। স্বামী ভাল আছেন শুনে ছেলেকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। কমলকান্তি ১০ বছর তপন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছিলেন। বর্তমানে সাড়ে ৪ বছর গঙ্গারামপুর হাসপাতালে কাজ করছেন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই বাসে ছিলেন গঙ্গারামপুরের তিন ভাই হায়দর আলি, গোলাম মোস্তফা এবং আবদুল মিঁয়া। মালদহে নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন আবি তালেব মিঁয়াকে দেখতে তাঁরা আসছিলেন। দুর্ঘটনা ৩ ভাই সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মামা রফিক শেখ জানান, রবিবার দিদি হাসিনা বিবি’র টেলিফোন পেয়ে ভাগ্নেরা জামাইবাবুকে দেখতে মালদহে আসছিল। মৃত্যুপথযাত্রী বাবাকে দেখতে এসে তিন ছেলে এখন হাসপাতালে। মালদহের গাজল এলাকায় সোমবার সকালে তীব্র গতিতে ছুটে আসা ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রী বোঝাই বাসের পেটে ধাক্কা মারায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
|
এক মহিলাকে ধাক্কা মারায় উত্তেজিত জনতা সমাজকর্মী মেধা পাটকরের গাড়ির কাচ ভেঙে দিল। তাঁকে প্রায় জোর করে থানাতে নিয়ে যায় জনতা। জখম ওই মহিলাকে কালিয়াচকের সিলামপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে কালিয়াচক থানার চৌরঙ্গি মোড়ের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। পরে পুলিশ অন্য একটি গাড়িতে মেধাকে কলকাতার দিকে রওনা করিয়ে দেয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, “মেধা পাটকরের গাড়ি এক মহিলাকে ধাক্কা মারে। এতে উত্তেজিত বাসিন্দা সামনের কাচ ভেঙে দেয়। কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।”পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন শিলিগুড়ির দিক থেকে একটি ছোট গাড়িতে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলেন মেধা। ওই মোড়ের কাছে স্থানীয় মহিলা বেবি মণ্ডল ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক পার হচ্ছিলেন। মেধার গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। গাড়ি থামিয়ে মেধা বেবিকে রাস্তা থেকে উঠিয়ে চিকিৎসার জন্য ৫০০ টাকা দেন। আশেপাশের বাসিন্দারা ছুটে আসেন। মেধা তাঁর নিজের পরিচয় দেওয়ার পরেও উত্তেজিত বাসিন্দারা গাড়ির কাচ ভেঙে দেয়। তারা জোর করেই মেধাকে কালিয়াচক থানায় নিয়ে যায়। |