পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠন মজবুত করতে আন্দোলনে নামছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস। ধান ও পাটের মতো ফসলের দাম নিয়ে চাষিদের ক্ষোভ কাজে লাগিয়ে দলের তরফে আগামী ৩১ জানুয়ারি বালুরঘাটে বিক্ষোভ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসকের দফতরের সামনে ওই আন্দোলনে আংশগ্রহণ করবেন দলের প্রদেশ সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, সাংসদ অধীর চৌধুরী, প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক ওমপ্রকাশ মিশ্র প্রমুখ। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদেশ নেতৃত্ব হাইকমান্ডের নির্দেশে জোট শরিক তৃণমূলকে সরাসরি আক্রমণের রাস্তা থেকে পিছু হটলেও চাষিদের দাবি নিয়ে আন্দোলন সংগঠিত করে জেলায় জেলায় সংগঠনকে মজবুত করতে উদ্যোগী হয়েছেন। রবিবার বহরমপুরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রদেশ সভাপতি বৈঠকের পরে ওই আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায় বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণে ব্যার্থতার প্রাতিবাদে এবং কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে আন্দোলন ছাড়া উপায় নেই। ৩১ জানুয়ারি বালুরঘাটে জেলা শাসকের অফিসের সামনে বিরাট জমায়েত করে বিক্ষোভ আন্দোলনের শুরু হবে।” দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের পরে ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের শক্তি অনেকটা বেড়েছে। অন্য দিকে কংগ্রেসের মজবুত সংগঠনের ভিত নড়বড়ে হয়েছে। দলের জেলা নেতৃত্ব ওই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। তাই পাটের পরে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি নিয়ে গ্রামস্তরে বেড়ে চলা চাষিদের ক্ষোভকে তাঁরা হাতছাড়া করতে চাননি। বালুরঘাট-সহ জেলার একাংশ কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ তৃণমূলে যোগ দিলেও দল মুছে যায়নি সেটা প্রমাণ করতে ইতিমধ্যে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব ব্লকস্তরে বিক্ষোভ, সমাবেশ, বিডিও-র দফতর ঘেরাও আন্দোলন সংগঠিত করেছেন। এ বার জেলা স্তরে আন্দোলনের সবুজ সঙ্কেত পেয়ে তাঁরা ঝাপিয়ে পড়েছেন। দলের জেলা সভাপতি নীলাঞ্জনবাবু জানান, বালুরঘাট ও হরিরামপুরে দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত কংগ্রসের দখলে। জেলায় দলের ৯৪ জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, ১২ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আছে। জেলা পরিষদে বিরোধী সদস্যের পদটিও কংগ্রেসের দখলে। দলের ১৫ হাজার সদস্যের পাশাপাশি যুব কংগ্রেসে ২৭ হাজার সদস্য পদ আছে। তাই জোটে থেকেও প্রদেশ নেতৃত্ব তাঁদের আবেদনে সাড়া দিতে দেরি করেননি। জেলা নেতৃত্বের দাবি, ৩১ জানুয়ারি সমাবেশ থেকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কর্মীরা যেমন বাড়তি অক্সিজেন পাবেন ঠিক তেমন শরিক তৃণমূলকে কড়া বার্তা দেওয়া সম্ভব হবে। |