বহরমপুরে পৌর সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
শুরু হল বহরমপুর পৌর সাংস্কৃতিক উৎসব। সোমবার শুরু হওয়া ওই উৎসব চলবে আগামী ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ছাড়াও প্রতি দিন সন্ধ্যায় রয়েছে জেলা ও কলকাতার শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বহরমপুর পৌরমেলা থেকে পৌর সাংস্কৃতিক উৎসবমাঝে পাঁচ বছরের ব্যবধান। এর আগে ২০০৭ সালে পুরসভার ১৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল পৌরমেলা। পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য বলেন, “সেই সময় থেকেই প্রতি বছর সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজনের দাবি উঠছিল। বিভিন্ন কারণে তা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। শেষ পর্যন্ত এ দিন সাংস্কৃতিক উৎসবের সূচনার মধ্যে দিয়ে বহরমপুরের সাধারণ নাগরিকদের ইচ্ছেপূরণ হল।”
|
পৌর উৎসবের উদ্বোধন করলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র। |
পুরপ্রধান বলেন, “ওই সাংস্কৃতিক উৎসবের মধ্য দিয়ে বহরমপুর শহরের সাংস্কৃতিক চর্চার পরিমণ্ডলকে কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ। সেই দিকে তাকিয়ে ওই সাংস্কৃতিক সম্মেলনের অনুষ্ঠান সূচিতেও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন বিভাগের বিচিত্রতার উপরে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।”
ওই সাংস্কৃতিক উৎসবে স্থানীয় শিল্পীদের গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানান নাট্যকর্মী শক্তিনাথ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “পৌর উন্নয়নের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক খিদে মেটাতেই বহরমপুরবাসীর আশা, আকাঙ্খা ও আবেগকে সম্মান জানিয়ে পৌর সাংস্কৃতিক হয়ে থাকে, তাহলে তো সাধু উদ্যোগ। সেই সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে স্কুলের পড়ুয়াদের ডাকা হয়েছে এবং সাড়াও মিলেছে বলে শুনেছি।” ওই উৎসবে রয়েছে, আবৃত্তি, রবীন্দ্রসঙ্গীত, রবীন্দ্র নৃত্য, লোকনৃত্য, আধুনিক গান, নজরুলগীতি, বসে আঁকো, হাস্যকৌতুক, সংবাদ পাঠ, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা, শ্লোগান রচনা, বিতর্ক, আলোচনা, প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতা। এছাড়াও শঙ্খধ্বনি, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, পুঁথি বেছে মালাগাঁথাও রয়েছে। |