রিকশা-হকারে ‘দখল’ বহরমপুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
বহরমপুর পুর-এলাকার অধিকাংশ রাস্তা হকারদের দখলে। ফুটপাথের অর্ধেকেও দখল নিয়েছেন তাঁরা। সংকীর্ণ রাস্তায় যানজট। আর দখল হওয়া ফুটপাথে ব্যবসায়ীদের রমরমা, এ অবস্থায় জেলা সদরে পথ চলাই দায় হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এ ব্যাপারে পুরসভা বার কয়েক মাইকে প্রচার চালিয়েই তাদের দায় সেরেছে। পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য অবশ্য এখনও তোপ দেগে চলেছেন, “রাস্তা দখল করে ব্যবসা বরদাস্ত করব না। একই ভাবে দোকানের সামগ্রী ফুটপাথে রেখে পথচারীদের যাতায়াতে ব্যাঘাত ঘটায়, সে ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গোটা বিষয়টি জানিয়ে নিয়মিত মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে।”
পুরসভার এমন ‘হুমকি’র সঙ্গে অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দাদের পরিচয় রয়েছে। দখলমুক্তো ফুটপাথ কিংবা রাস্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি শেষ পর্যন্ত যে কথাতেই শেষ হয়েছে, এ অভিজ্ঞতা তাঁদের রয়েছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র কাদাই এলাকায় দোকানের সামগ্রী ফুটপাথের অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল করে রেখে দেন বলে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। |
দখল ফুটপাথ। ছবি:গৌতম প্রামাণিক। নিজস্ব চিত্র |
স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস মজুমদার বলেন, “কাদাই জলট্যাঙ্ক থেকে কল্পনার মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত পুরসভার ফুটপাথের অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল করে রেখে দেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসার সামগ্রী দোকানের বাইরে থাকার ফলে অসুবিধা তো হয়। সেই সঙ্গে ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে গিয়ে অনেক সময়ে ধাক্কাধাক্কি হয়ে থাকে। পুরসভা সব জেনেও চুপ।”
একই ভাবে মধুপুর বাজার মোড় থেকে পঞ্চাননতলা পর্যন্ত রাস্তা দখল করে যাবতীয় সামগ্রী দোকানের বাইরে সাজিয়ে রাখে থাকে। এতে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়ায় অনেক সময়ে এলাকার যানজট চরম আকার নেয়। মধুপুর বাজার এলাকায় রাস্তার উপরেই দু-ধারে সব্জির ডালা নিয়ে বিক্রি করেন বিক্রেতারা। এ ছাড়াও জনবহুল ও ব্যস্ততম বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা জুড়ে রাস্তা দখল করে ফলের বাজার বসে যায় বলে অভিযোগ। মধুপুরের বাসিন্দা স্বাস্থ্যকর্মী রুনা দাস বলেন, “বাড়ি থেকে বের হলেই এখন মনে হয় গোটা শহর জুড়েই যেন বাজার বসেছে।”
চেম্বার অফ কমার্সের জেলা সভাপতি অজয় সিংহ বলেন, “ফুটপাথ বা রাস্তা অধিগ্রহণ করে দোকানের সামগ্রী রেখে সাধারণ মানুষের অসুবিধা সৃষ্টি করলে তা সমর্থনযোগ্য নয়। এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর সচেতনতার অভাবে ওই ঘটনা ঘটছে।”
পুরকর্তৃপক্ষ শুনতে পাচ্ছেন? |