পরে খেজুরি যায় সিআইডি-র দল। শেরখাঁচকের জননী ইটভাটা, আমড়াতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়-চত্বরও ঘুরে দেখেন ডিজি। এখনও পর্যন্ত তদন্তে সিআইডি-র অনুমান, সে দিনের মিছিলে হামলার পরে হতাহতদের এই দুই জায়গাতেই আনা হয়েছিল। পরে কয়েক জন নিহতের দেহ রসুলপুর নদী থেকে নৌকায় বঙ্গোপসাগরে নিয়ে গিয়ে ভাসিয়ে দেওয়া হয় বলে সিআইডি-র দাবি। এ দিন ডিজি রসুলপুর নদী-সংলগ্ন শ্যামপুর-কটকা খালের ঘাটেও যান। যান খেজুরি থানা ও কামারদা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও। স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গেও কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে নিখোঁজদের পরিজনেদের আবেদনের ভিত্তিতে পুজোর আগে এই মামলার তদন্ত শুরু করেছিল সিআইডি। খেজুরির এক প্রাক্তন সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্য অজিত বর, নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য নব সামন্ত-সহ ৭ জন এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁরা সবাই আপাতত জেলবন্দি। দেহ লোপাটে ব্যবহৃত হয়েছে সন্দেহে সিপিএম নেতা হিমাংশু দাসের পরিচালনাধীন কামারদার ক্লাবের একটি অ্যাম্বুল্যান্সও বাজেয়াপ্ত করেছে সিআইডি। এই গুমখুন মামলায় জড়িয়েছে লক্ষ্মণ শেঠ, হিমাংশু দাস, প্রজাপতি দাস, বিজন রায়দের মতো সিপিএম নেতার নামও। তাঁরা প্রত্যেকেই আত্মগোপন করেছেন। দেখা যায়নি সদ্য-অনুষ্ঠিত সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্মেলনেও। |