নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রয়াগ ইউনাইটেডের কাছে হার, সুব্রত-হাদসন বিতর্কের পরের সকালেই মোহনবাগান তাঁবুতে নাটক।
অভিনব দৃশ্য। মোহনবাগান তাঁবুতে একে একে ঢুকলেন ফুটবলাররা। কিন্তু অনুশীলনে নামলেন না! লনে ঢোকার আগের গেট লাগানো ছিল। মালিরা বলে দিচ্ছিলেন, সাংবাদিকদের ঢোকা বন্ধ।
মোহন তাঁবুর দরজা বন্ধ করে টিডি সুব্রত ভট্টাচার্য ভুল ক্রুটি বিশ্লেষণ করলেন দলের। তবে হাদসন নিয়ে কোনও কথা বলেননি সুব্রত। দেড় ঘণ্টা ধরে চলল বৈঠক। রাতে মোহন টিডি বললেন, “ও ক্ষমা চেয়েছে। দেবাশিস বলল ক্ষমা চেয়ে চিঠিও দিয়েছে। ওসব আর মনে রাখতে চাই না।” |
ব্যারেটোর সঙ্গে মোহনবাগান মাঠ ছাড়ছেন হাদসন। সোমবার। -নিজস্ব চিত্র |
শুক্রবার আই লিগে পৈলান অ্যারোজের বিরুদ্ধে নামার আগে বুধবার ব্যারেটোদের ঘরোয়া লিগে খেলতে হবে সাদার্ন সমিতির বিরুদ্ধে। সুব্রত ভট্টাচার্য সূচি নিয়ে ক্ষুব্ধ, “আগের দিন গোয়ায় খেলে রাতে ফিরলাম। এক দিন পরেই ইউনাইটেডের সঙ্গে খেলতে হল। সামনে পরপর দু’দিন খেলা। কলকাতা লিগে কী টিম হবে, মাঠে গিয়ে সবার সঙ্গে ঠিক করব।”
মাঠে নামলেন একমাত্র সুনীল ছেত্রী। রি-হ্যাব বিশেষজ্ঞ জোনাথন কর্নারের সঙ্গে ফিটনেস ফেরানোর জন্য গা ঘামালেন আধ ঘণ্টা মতো। ভিতরের বৈঠক নিয়ে মুখ খোলেননি কোনও ফুটবলার। কোচ-টিডিও না। অধিনায়ক হোসে ব্যারেটো শুধু জানালেন, দলকে জয়ের রাস্তায় ফেরাতেই মিটিং। তাঁর কথায়, “মাঠে আমাদের অনেক খাটতে হবে। এখনও মনে করি না আই লিগের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছি।”
লিমার প্রসঙ্গ উঠতেই অবশ্য ব্যারেটো থামিয়ে দিলেন, “লিমার ব্যাপার মিটে গিয়েছে। ভুল বোঝাবুঝি একটা হয়েছিল। আর কিছু নয়।” ততক্ষণে গম্ভীর মুখে লিমা উঠে পড়েছেন ব্যারেটোর গাড়িতে। বাকি ফুটবলাররাও তাঁবু ছাড়লেন গম্ভীর মুখেই। তবে ব্যারেটো খুব গুরুত্ব দিলেন না রবিবারের ম্যাচের পর ‘গো ব্যাক ব্যারেটো’ স্লোগানকে। বলছিলেন, “এ রকম এর আগেও শুনেছি। নিজেকে মাঠে খেলতে হবে। এই নিয়ে কী আর বলব?”
|
মহমেডান বনাম পুলিশ এসি, (যুবভারতী, ২-০০)। |