নিজের রাজ্যে মমতা যতই নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি অপছন্দ করুন, ইম্ফলে তাঁর জন্য পুলিশ সবচেয়ে জোরদার ব্যূহ তৈরি করছে। এমনকী জঙ্গিরা যাতে বেড়ার বাঁশেও বিস্ফোরক রাখার সুযোগ না পায় তার জন্য বেড়ায় কাঠের পাটাতন ব্যবহার করা হচ্ছে।
আপাতত দিদির নিরাপত্তা নিয়ে তৃণমূল যত না চিন্তিত, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে ভালয় ভালয় কলকাতায় ফেরত নিয়ে যেতে তার চেয়েও বেশি বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছেন তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এডিজি (নিরাপত্তা) বীরেন্দ্র। ২৫ জানুয়ারি বেলা ২টো থেকে লাংজিং আচৌবা মাঠে মমতার জনসভা হওয়ার কথা।
লাংজিং আচৌবা ইম্ফলের সবচেয়ে বড় মাঠ। পাশেই সিআরপিএফ-এর সদর দফতর। আশপাশে তিন বর্তমান বিধায়ক তথা তৃণমূল প্রার্থী কে শরৎ, কে কুঞ্জকিশোর ও শ্যামকুমারের এলাকা। সভায় অন্তত ২০ জন প্রার্থী হাজির থাকবেন। তাই মমতার সভার দিন মাঠের চারপাশে বাঁশ নয়, কাঠ দিয়ে মুড়ে রাখা হচ্ছে। পুলিশের যুক্তি বাঁশের ফাঁকে, এমনকী বাঁশের ভিতরেও বিস্ফোরক রাখা হতে পারে! বাঁশের ফাঁক দিয়ে গ্রেনেডও ছুড়তে পারে জঙ্গিরা। তাই এই ব্যবস্থা। আজ মাঠের নিরাপত্তা তদারক করেন এডিজি ও ইম্ফলের এসপি।
রাজ্যে তৃণমূলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সৌরভ চক্রবর্তী জানান, ক’দিন আগে দলের প্রার্থী সু সু মেইতেইয়ের বাড়ি থেকে একটি আইইডি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে তৃণমূলের এক প্রার্থীর বাড়ির কাছে বিস্ফোরণও হয়েছে। বোমা মিলেছে আরও একজনের বাড়িতে।
আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে, সভাস্থলের পাশে একটি হেলিকপ্টারও রাখা থাকছে। আসলে সাত জঙ্গি গোষ্ঠীর যৌথমঞ্চ কংগ্রেসকে বয়কটের ডাক তো দিয়েইছে, তৃণমূলের এই সভা বয়কটেরও ডাক দেওয়ায় নিরাপত্তা কর্তাদের উদ্বেগ আরও বেড়েছে। এই অবস্থায় নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ কোনও আপসে যেতে রাজি নয়। |