জয়পুরের সাহিত্য উৎসবে না এলেও উত্তরপ্রদেশের ভোট ‘উৎসবে’ চলে এলেন সলমন রুশদি! এলেন কংগ্রেস-বিজেপি তরজায়। এলেন কে বড় ‘সাম্প্রদায়িক’ দল, সেই বিতর্কে।
কেন্দ্রের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের ভোটে সংখ্যালঘু তোষণ করতে কংগ্রেস কখনও সংরক্ষণের তাস খেলছে, কখনও দিগ্বিজয় সিংহরা বাটলা-কাণ্ড উস্কে দিচ্ছেন। এ বারে সলমন রুশদিকেও কংগ্রেস কাজে লাগাচ্ছে। কী ভাবে? বিজেপি মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “ভোটের মুখে সংখ্যালঘুদের তুষ্ট করার জন্য মুম্বইয়ের অন্ধকার জগতের ভাড়াটে খুনিদের সাজানো খবর প্রচার করে রুশদিকে এ দেশে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মুম্বই পুলিশ এর সত্যতা খারিজ করলেও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত দাবি করছেন, কেন্দ্রও রুশদির প্রাণনাশের আশঙ্কার কথা বলেছে।” তাঁর যুক্তি, অতীতে সিবিআইয়ের মতো এ বার আইবি-কে ব্যবহার করে মিথ্যা গল্প সাজাচ্ছে কেন্দ্র।
শুধু অভিযোগ করাই নয়, রুশদির ঘটনাকে সামনে রেখে বিজেপি আজ কংগ্রেসকে ‘সাম্প্রদায়িক’ বলেছে। দলের এক নেতা বলেন, “আমরা উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে যখন ‘রাম’কে ত্যাগ করছি, কংগ্রেস তখন ‘রহিম’কে কাছে টানতে মরিয়া হয়ে উঠেছে!”
পাল্টা জবাবে কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, “আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। এত বছর ধরে যাদের সাম্প্রদায়িক চরিত্র সকলের কাছে স্পষ্ট, তারাই আজ কংগ্রেসকে সেই অ্যাখ্যা দিচ্ছে! রুশদিকে আনার ব্যাপারে সরকার বাধা দেয়নি।” তাঁর বক্তব্য, গোয়েন্দা সংস্থার কাছে যদি খবর থাকে, তা হলে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করাই উচিত। অভিষেক বলেন, “যদি রুশদি এর পরেও আসতেন, তা হলে সরকার তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করত।”
সিঙ্ঘভির বক্তব্যের পাল্টা জবাবে রবিশঙ্কর বলেন, “কেন্দ্রের কাছে রুশদিকে নিয়ে আশঙ্কার খবর থেকে থাকলে মুম্বই পুলিশকে সতর্ক করা হল না কেন? এ থেকেই স্পষ্ট, গহলৌতকে কংগ্রেস জানিয়েছে, রুশদি আসার পর উত্তরপ্রদেশে ফল খারাপ হলে দায় চাপানো হবে তাঁর ঘাড়েই!” |