গ্রামেরই যুবককে পালিয়ে বিয়ে করার ‘অপরাধে’ এক বধূর মাথার চুল কেটে অর্ধনগ্ন অবস্থায় গ্রাম ঘোরানোর অভিযোগ উঠল ‘প্রেমিক’-এর পরিবারের বিরুদ্ধে। রামপুরহাট থানার শিবদাসপুর গ্রামের ঘটনা। রবিবার সন্ধ্যার ঘটনা হলেও খবর পেয়ে সোমবার মহকুমাশাসক (রামপুরহাট) বৈভব শ্রীবাস্তব, বিডিও (রামপুরহাট ১) শান্তিরাম গড়াই, রামপুরহাটের আইসি অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামে গিয়ে ওই বধূর সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা শুরু করেছে।
কাটা চুল দেখাচ্ছেন সোহাগির মা। নিজস্ব চিত্র।
সোহাগি লেট নামের ওই বধূকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ তাঁর ‘প্রেমিক’ তামাল লেটের বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁর দিদি সরস্বতীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, শিবদাসপুরের ঠাকুরপাড়ার বাসিন্দা, পেশায় রিকশাচালক মুন্সি লেটের চার মেয়ের মধ্যে সোহাগি বড়। বয়স বছর কুড়ি। বছর তিনেক আগে ময়ূরেশ্বরে তাঁর বিয়ে হয়। মাস তিনেক পরেই তিনি স্বামীকে ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন। পরে তাঁর সঙ্গে লেটপাড়ার তামালের পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা। ১৬ জানুয়ারি দু’জনে মেলা দেখার নাম করে বেরোন। পরে ১৯ জানুয়ারি একটি শিবমন্দিরে তাঁদের ‘বিয়ে’ হয়। খবর পেয়ে তামালকে আত্মীয়েরা শিবদাসপুরে নিয়ে আসেন গত শুক্রবার। সে দিনই তামাল সোহাগির কাছে ফিরে যান। শনিবার দু’জনে এক সঙ্গে গ্রামে ফেরেন। সোহাগির অভিযোগ, “প্রথমে আমার বাপের বাড়ি যাই। সেখান থেকে তামালের মা লবানি লেট, কাকা বাবলু-সহ কিছু আত্মীয় আমাদের ওই বাড়িতে নিয়ে যায়। ওরা আমাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে একটা ক্লাবঘরে নিয়ে গিয়ে তামালের কাকিমা আর দিদিমা কাঁচি দিয়ে আমার চুল কেটে দেয়। আরও কিছু আত্মীয় আমার শাড়ি খুলে দিয়ে গ্রাম ঘোরায়।” সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই ‘অত্যাচার’ চলার সময় গ্রামের কেউ প্রতিবাদ করেননি বলে সোহাগির দাবি।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.