সাঁইথিয়ার মূল রাস্তা সংস্কার ও চওড়া করার দাবি
থ থাকলেও তা চলার অযোগ্য। তবে এটা কোনও গ্রাম্য পথ নয়। এটা জেলার অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্য শহর সাঁইথিয়ার রাজপথের আসল রূপ।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্যই এই শহরে নিত্যদিন প্রচুর লোকের আনাগোনা হয়। রেল ও সড়ক যোগাযোগ ভাল হওয়ায় এক দিকে শহরে যেমন বাণিজ্যে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, তেমনি রেলের রেকপয়েন্টও এই শহরেই গড়ে উঠেছে। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হলেও শহরটি ‘পরিকল্পনাহীন’। শহরের মাঝখান দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে চলে গিয়েছে রেলপথ। আবার এই রেলপথের ঠিক মাঝ বরাবর চলে গেছে সাঁইথিয়ার রাজপথ। শহরের মাঝ দিয়ে যাওয়ার জন্য এই রাস্তাটিকে এই শহরের একমাত্র পথও বলা যায়। শহরের পশ্চিম প্রান্ত থেকে (সিউড়ির দিক থেকে ঢুকতে) পূর্বপ্রান্তের বোলষণ্ডা মোড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তাটির প্রস্থ কম। ফলে রাস্তা দিয়ে পাশাপাশি দু’টি গাড়ি চলা খুবই অসুবিধাজনক। এই সমস্যাই চরম আকার নেয় সাঁইথিয়া থানা মোড় থেকে পুরসভা মোড় পর্যন্ত। এই রাস্তার মধ্যেই পড়ে রেল লাইনকে ভাগ করে চলে যাওয়া এই রেলসেতু।
সাঁইথিয়ার মুরাডিহি কলোনি থেকে ছবিটি তুলেছেন অনির্বাণ সেন।
গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হল, সরু রাস্তা ও প্রাচীন রেলসেতুটির প্রায় পুরোটাই খানাখন্দে ভরা। তাই এই রাস্তা দিয়ে মোটরবাইক, সাইকেল, রিকশা এমনকী পায়ে হেঁটে চলাচল করাটা কষ্টের বলে জানিয়েছেন নিত্য যাত্রীরা। সাঁইথিয়া সেন্ট এন্ড্রুজ স্কুলের শিক্ষিকা নাসু মনসুরি বলেন, “বাচ্চারা গাড়ি করে স্কুলে যায়। কিন্তু রাস্তার অবস্থা এতটা খারাপ যে ওরা বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত খুবই চিন্তায় থাকি।” গাড়ির চালক পলাশ মণ্ডল বলেন, “রাস্তার অবস্থা খারাপ বলে তো গাড়ি চালানোই যায় না। তার ওপর যানজটের সমস্যা তো আছেই।” সাঁইথিয়া মনসাপল্লির বাসিন্দা স্থানীয় অভেদানন্দ মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র দেবব্রত সাহা ও ছাত্রী লাভলি মণ্ডলরা জানান, রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। এমনিতেই সরু রাস্তা, তার পরে পাশাপাশি দু’টো গাড়ি চলে এলে তখন কলেজ যাওয়াও দুষ্কর হয়ে পড়ে। এদের প্রত্যেকেরই দাবি, অবিলম্বে রাস্তা সারানোর ব্যবস্থা করতে হবে এবং রেলসেতুটিকে চলাচলের উপযুক্ত করে তুলতে হবে।
সাঁইথিয়ার পুরপ্রধান বীরেন্দ্রকুমার পারখ জানান, বাণিজ্য শহর হিসেবে পরিচিতির পাশাপাশি এ শহর সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম বলেও পরিচিত। বহু মানুষ মায়ের মন্দিরে আসেন। স্বাভাবিক ভাবেই বহু গাড়িও চলাচল করে এই রাস্তা দিয়েই। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন থেকে রেলসেতুটি চওড়া করানোর দাবি জানালেও রেল কর্তৃপক্ষ কোন ভ্রূক্ষেপ করেনি। এমনিতে সাঁইথিয়ায় তেমন কোন বিকল্প রাস্তা না থাকার সমস্যা আছেই। শহরের পশ্চিম থেকে পূর্বে চলে যাওয়া রাস্তাটি পূর্ত দফতরের। রাস্তাটি সারানোর জন্য পূর্ত দফতরের কাছে আবেদন জানানো হলেও কোন কাজ হয়নি।” তাঁর দাবি, “পুরসভার তরফ থেকে রাস্তার বেশ কিছু বড় খানাখন্দ ভরাট করে সাময়িক ভাবে চলাচলের উপযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।”
অবশ্য পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি থেকে সাঁইথিয়া রেল সেতুর আগে পর্যন্ত রাস্তাটি সারানোর জন্য ইতিমধ্যেই ২০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে ওই দফতর। খুব শীঘ্র দরপত্র আহ্বান করা হবে। পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র সলিল মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “আমি সদ্য যোগ দিয়েছি। তাই রাস্তা সারানোর কতটা কী হয়েছে, সে ব্যাপারে ব্যাপারে বিশদে বলতে পারব না। তবে থানার সামনে থেকে কলেজের দিকে যাওয়ার রাস্তা জাতীয় সড়কের আওতায়।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.