এলাকার বাসিন্দাদের তৎপরতায় ব্যর্থ হলে ব্যাঙ্কে চুরির চেষ্টা। শুক্রবার গভীর রাতে মালদহের ইংরেজবাজার এলাকার বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের কাজিগ্রাম শাখায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, চোরেরা শাটার কেটে ঢুকলেও ভল্ট ভাঙতে পারেনি। শব্দ শুনে বাসিন্দারা হইচই করায় গ্যাস কাটার, গ্যাস সিলিন্ডার ফেলে পালায় তারা। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “একটি চোরের দল এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে নানা এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়। বাসিন্দারা সজাগ থাকায় কাজ হয়েছে। পুলিশের বাড়তি তৎপরতাও চোরেদের পালানোর কারণ। চোরেদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, চোররা লোহার গেটের তালা ভেঙে ব্যাঙ্কের লোহার ভল্ট গ্যাস কাটার দিয়ে কাটার চেষ্টা করে। |
শনিবার সকালে ব্যাঙ্কে ভিড় বাসিন্দাদের। নিজস্ব চিত্র। |
কিন্তু আশেপাশের লোকজন টের পেয়ে হইচই করেন। কয়েকজন অস্ত্র নিয়ে বার হন। তখনই দুষ্কৃতীরা পালায়। পরে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চোরেদের সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে। বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের কাজিগ্রাম শাখার ম্যানেজার সঞ্জীব বণিক বলেন, “গ্যাস কাটার দিয়ে ব্যাঙ্কের ভল্ট কাটার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু ভল্ট কাটতে পারেনি। গ্যাসকাটারের আগুনে চাবি নষ্ট হয়েছে। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা।”
শনিবার সকালে ব্যাঙ্কে গিয়ে দেখা গেল কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের দোতলায় ব্যাঙ্ক। পাশে প্রাথমিক বিদ্যালয়। সামনে ও পিছনে ঘন বসতি। ব্যাঙ্ক লাগোয়া বাড়ির বাসিন্দা গৌতম বসাক বলেন, “রাত ২টো নাগাদ শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে যায়। ঘরের বাইরে বার হয়ে চিৎকার করতেই শুনি পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরে শব্দ হচ্ছে। এর পরে হাঁসুয়া নিয়ে বাইরে যাই। দেখি চার-পাঁচ জন পঞ্চায়েত অফিসের উপরে ব্যাঙ্ক থেকে নেমে পালিয়ে গেল।” ওই রাতে বাসিন্দারা পঞ্চায়েত অফিসের দোতলায় যাননি। সকালে ম্যানেজার গিয়ে দেখেন শাটার কাটা। ভল্টের সামনে গ্যাস কাটার, গ্যাস সিলিন্ডার পড়ে আছে। |