স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক নয়ছয়, বিপাকে মায়াবতী সরকার |
উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের ঠিক আগে মায়াবতী সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে দিল কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) রিপোর্ট। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য প্রকল্পের (এনআরএইচ এম) জন্য বরাদ্দ অর্থের মধ্যে ৫ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকার কোনও হিসেবই মিলছে না।
সিএজি রিপোর্টে এনআরএইচএম খাতে ২০০৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত খরচের বিস্তারিত খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। তাতেই ওই বিপুল অঙ্কের টাকার কোনও হিসেব মিলছে না। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্য কমিটি এনআরএইচএমের নির্দেশ মেনে কাজ করেনি। গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ভুয়ো টেন্ডার ডাকা হয়েছে। মাল সরবরাহের গাড়ি হিসেবে দেখানো হয়েছে শাহজাহানপুর জেলাশাসকের গাড়িটিকে। ৫৫০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অনুমোদন পাশ করানো হয়েছে। টাকা বরাদ্দও হয়ে গিয়েছে। অথচ এখনও পর্যন্ত একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রও গড়ে ওঠেনি। কাজের পদ্ধতি সম্পর্কেও প্রশ্ন তোলা হয়েছে রিপোর্টে। জানানো হয়েছে, প্রকল্পের আওতায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কেনাকাটাতেই কেবলমাত্র এক জন মুখ্যসচিব পদের আধিকারিক রয়েছেন। অথচ প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী কেনাকাটার সময় তিন আধিকারিকের অংশগ্রহণ কাম্য। এদের মধ্যে পরিকল্পনা ও অর্থ দফতরের এক জন করে আধিকারিক থাকা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু এই নিয়ম মানা হয়নি।
উত্তরপ্রদেশে এনআরএইচএমের টাকা নয়ছয় হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ২০১১ সালেই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেয় ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। সিএজি রিপোর্টের পর আরও চাপে পড়ে গেল মায়াবতী সরকার। বিষয়টি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিংহ বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার টাকা পাঠিয়ে গিয়েছে অথচ রাজ্য সরকার তহবিলের টাকার অপচয় করেছে। বোঝাই যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশে এ বার পরিবর্তনের সময় এসেছে। আমার আশা, খুব শীঘ্রই এই পরিবর্তন ঘটবে।” |