আমরি-র ডিরেক্টরদের প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে শনিবার কোনও সিদ্ধান্ত নিল না আদালত। এ দিন আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট চৌধুরী হেফাজত করিম জেল হাজতে থাকা আমরি-র ছয় ডিরেক্টরের সম্পর্কে তদন্তকারী অফিসারকে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন। আদালত সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের কেউ দাগি আসামি কি না, তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনও ফৌজদারি মামলা রয়েছে কি না, সে সব বিষয়েই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি সেটি জমা দিতে হবে। ওই দিন আলিপুর আদালতে আমরি-মামলায় অভিযুক্ত হাসপাতালের ৮ জন কর্তার জামিনের আবেদনের শুনানির দিনও ধার্য রয়েছে।
গত বুধবার আমরি-র ছয় ডিরেক্টরের তরফে আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রথম শ্রেণির বিচারাধীন বন্দির মর্যাদা চেয়ে আবেদন দাখিল করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের আইনজীবী সেলিম রহমানের বক্তব্য ছিল, যে সব অভিযুক্তের সামাজিক মর্যাদা, উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে এবং যাঁরা উন্নত মানের জীবনযাপনে অভ্যস্ত, তাঁরা দাগি আসামি না হলে জেলবিধি অনুযায়ী
এই সুযোগসুবিধা দেওয়া যেতে পারে। জেলে তাঁর মক্কেলদের জন্য লোহার খাট, মাদুর, চেয়ার-টেবিল দেওয়ার আর্জি জানান ওই আইনজীবী। সরকার পক্ষের আইনজীবী শক্তি ভট্টাচার্য তার বিরোধিতা করে বলেছিলেন, আমরি-কাণ্ডের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনও চার্জশিট পেশ করা হয়নি। তাঁদের বিরুদ্ধে আগে কোনও মামলা রয়েছে কি না, তা চার্জশিটেই উল্লেখ করবে পুলিশ। জেলে অন্যান্য
বন্দিদের যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, সবই এখন তাঁরা পাচ্ছেন। |