ফের দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে।
শনিবার বেলা ১টা নাগাদ কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মোটরবাইকে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মোটরবাইকের পিছনে বসা এক মহিলার। জখম হন মোটরবাইকের চালক ওই মহিলার স্বামী এবং ৫ বছরের শিশুকন্যা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার নাম ঝুমা বন্দ্যোপাধ্যায় (৩০)। ঝুমাদেবীর স্বামী ৩৪ বছরের অলোক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মেয়ে মেঘা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান।
স্ত্রী ও মেয়েকে মোটারবাইকে চাপিয়ে হুগলির জাঙ্গিপাড়া থেকে কলকাতা রওনা হন অলোকবাবু। কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ওপর গড়ফা সেতু পেরিয়ে কলকাতার দিকে যাওয়ার সময় মৌখালি শেখপাড়ার কাছে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিছন থেকে মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। ধাক্কায় তিন জনই ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ঝুমাদেবীর। গুরুতর আহত হন অলোকবাবু ও মেঘা। পুলিশ ট্রাকের চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করে।
দিন সাতেক আগেই কোনা এক্সপ্রেসওয়ে এবং ক্যারি রোড মোড়ের কাছে একটি তেলের ট্যাঙ্কারের চাকার তলায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিন বছরের এক শিশুর। শনিবার এই দুর্ঘটনার পরে এলাকার লোকজন বিক্ষোভ দেখান। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই রাস্তায় যথেষ্ট সংখ্যক ট্র্যাফিক থাকে না। সিগন্যাল যাঁরা নিয়ন্ত্রণ করেন, তাঁরাও প্রশিক্ষিত নন। এ ব্যাপারে ডিসি ট্র্যাফিক অখিলেশ চর্তুবেদীর বক্তব্য, “কমিশনারেট হওয়ার পরে ওই রাস্তায় আগের থেকে অনেক বেশি ট্র্যাফিক পুলিশ ও গ্রিন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ট্র্যাফিক সিগন্যালগুলি যাতে আধুনিক করা যায়, চেষ্টা চলছে।” |