বাজার থেকে ফেরার পথে এক যুবককে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে গিয়ে জখম হন যুবকের বন্ধু। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির গোদাবর গ্রামে। নিহতের নাম হরিপদ নস্কর (৩০)। বাড়ি ওই গ্রামেই। জমিজমা নিয়ে পুরনো বিবাদের জেরে তিনি খুন হন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। এই ঘটনায় তৃণমূল সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলায় রাজনীতির রঙ লেগেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিপদ নস্কর ও তাঁর বন্ধু অর্জুন নস্কর কুলতলির জামতলা বাজার থেকে ফিরছিলেন। সে সময় গ্রামের রাস্তায় ৮-১০ জন দুষ্কৃতী তাঁদের উপরে চপার নিয়ে চড়াও হয়। মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই হরিপদর মৃত্যু হয়। জখম অর্জুনকে প্রথমে পদ্মেরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়।
কয়েক বছর আগে ওই এলাকায় একটি খুনের ঘটনায় হরিপদর নাম জড়িয়ে যায়। তিনি বর্তমানে জামিনে ছিলেন। অর্জুন কৃপাখালি-গোদাবর পঞ্চায়েতের তৃণমুল সদস্য পঞ্চানন নস্করের ছেলে। ব্লক তৃণমুল সভাপতি গোপাল মাজির অভিযোগ, “এটা সিপিএমের পরিকল্পিত আক্রমণ। ওরাই খুন করেছে।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই ঘটনায় অযথা রং চড়ানো হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।” অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতদেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। |