আক্ষরিক অর্থেই হেসেখেলে অস্ট্রেলীয় ওপেনের শেষ ষোলোয় নোভাক জকোভিচ। প্রতিদ্বন্দ্বীদের সতর্ক করে গত বারের চ্যাম্পিয়ন বলে দিলেন, “এখানে আসার আগে বেশি ম্যাচ না খেললেও জীবনের সেরা ফর্মে আছি। আগের বছরের থেকেও ভাল খেলছি!” গোটা ম্যাচে প্রতিপক্ষ নিকোলাস মাহু আর দর্শকদের সঙ্গে ঠাট্টা-ইয়ার্কি মেরে ‘জোকার’ জিতলেন ৬-০, ৬-১, ৬-১। হাঁটুর চোট নিয়ে নেমেছিলেন মাহু। ম্যাচের পর ফরাসিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে জকোভিচ বলেন, “ও নড়তেই পারছিল না। দেখে আমারই খারাপ লাগছিল। নিকোলাসকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।”
আর এক ফরাসি মাইকেল লোদরাকে ৬-৪, ৬-২, ৬-০ হারিয়ে শেষ ষোলোয় অ্যান্ডি মারে। তবে তৃতীয় রাউন্ডে ফরাসি পতাকা উড়িয়ে রাখলেন জো সঙ্গা এবং রিচার্ড গাস্কে। কোচ ছাড়াই খেলছেন সঙ্গা। বলেছেন, “নিজেকে নিজের পরামর্শে উন্নতিটা খারাপ করিনি!” চতুর্থ রাউন্ডে সঙ্গার সামনে জাপানের কেই নিশিকোরি। সার্বিয়ার টিপসারেভিচকে হারিয়ে গাস্কে পড়েছেন পঞ্চম বাছাই ফেরারের সামনে। |
বয়সে দশ বছরের ছোট কানাডার মিলোস রাওনিচের কাছে প্রথম সেট হেরেও ঘুরে দাঁড়িয়ে ৪-৬, ৬-৩, ৭-৬, ৬-৩ জিতলেন স্থানীয় মহানায়ক লেটন হিউইট। জকোভিচ গ্যালারির প্রচুর মনোরঞ্জন করছেন। তবে পরের ম্যাচে হিউইটকে খেলার সময়ে অস্ট্রেলীয় দর্শক তাঁর পাশে কতটা থাকেন, সেটা দেখার। হিউইট-ই (৩১) শেষ ষোলোয় বয়স্কতম প্লেয়ার। যে কোনও দিন অবসর ঘোষণা করবেন।
মেয়েদের সিঙ্গলসে সেরেনা উইলিয়ামস বত্রিশ বছরের গ্রেটা আর্নকে ৫৯ মিনিটে ৬-১, ৬-১ উড়িয়েও নিজের ফর্মে অখুশি। “আরও ধারাবাহিক খেলতে হবে,” বলেছেন ২০০৯ থেকে মেলবোর্ন পার্কে অপরাজিত সেরেনা। আর এক প্রাক্তন এক নম্বর শারাপোভাও বিধ্বংসী ফর্মে। জার্মান কারবরকে ৬-১, ৬-২ হারিয়ে শারাপোভা প্রি-কোয়ার্টারে লিসিস্কি-কে পেয়েছেন। প্রথম সেটে হেরে আহত কিরিলেঙ্কো ম্যাচ ছাড়ায় দ্বিতীয় বাছাই কিভিতোভা শেষ ষোলোয়। বাছাইদের মধ্যে এ দিন হারেন জোনারেভা (৭) এবং বার্তোলি (৯)।
এ দিকে, জিতেই চলেছেন মহেশ ভূপতি। ডাবলসে চতুর্থ বাছাই, মহেশ-রোহন বোপান্না তৃতীয় রাউন্ডে উঠলেন। অবাছাই কার্স্টেন বল-ট্রিট কনর্যাড হুইকে ৬-২, ৬-২ হারিয়ে। সানিয়া মির্জাও মেয়েদের ডাবলসের তৃতীয় রাউন্ডে। সানিয়া-এলেনা ভেসনিনা জুটি ৭-৫, ৭-৫ জিতলেন বির্নেরোভা-ব্রিয়ান্তির বিরুদ্ধে। লিয়েন্ডার পেজ আবার ভেসনিনাকে সঙ্গী করে মিক্সড ডাবলসের দ্বিতীয় রাউন্ডে। লিয়েন্ডাররা ৬-২, ৭-৫ হারালেন পাভলুচেঙ্কো-মির্নিকে। |