দামাস্কাস ওয়াশিংটন লাহোর নিউ ইয়র্ক কানো (নাইজিরিয়া) |
• সিরিয়ায় হিংসা অব্যাহত। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের নিরাপত্তা বাহিনী শুক্রবারেও নাকি সাত জনকে গুলি করে মেরেছে। সরকারের দাবি, বিরোধীদের আক্রমণে বহু নিরাপত্তারক্ষীরও প্রাণ যাচ্ছে। ইতিমধ্যে উত্তাল সিরিয়ায় আরব লিগ-এর পর্যবেক্ষকদের নজরদারির নির্ধারিত সময়সীমা বৃহস্পতিবার ফুরিয়েছে। ১৬৫ সদস্যের এই দলের রিপোর্ট রাষ্ট্রপুঞ্জ সহ আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। ও দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বিবেচনা করছে। এই সব চাপে আসাদের মন ঘুরবে কি?
• নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-জঙ্গভি-র গৃহবন্দি নেতা মালিক ইশাককে মুক্ত করে দিল পাকিস্তানের বিচারবিভাগ। লাহোরের এই নেতা অনেকগুলি সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে সংযুক্ত বলে অভিযোগ।
• মার্কিন সরকার স্টপ অনলাইন পাইরেসি অ্যাক্ট (সোপা) আর প্রোটেক্ট ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অ্যাক্ট (পিপা) নামের দু’টি আইন চালু করতে চলেছে। অনলাইন দুনিয়া প্রায় একমত, এটা ইন্টারনেটে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের সরকারি কৌশল। প্রতিবাদে ১৮ জানুয়ারি নিজেদের ওয়েবসাইটে ব্ল্যাক আউট করল উইকিপিডিয়া। গুগ্ল-ও নিজেদের নামটি কালো করে দিল।
• নাইজিরিয়ার কানো শহরে পর পর একাধিক বিস্ফোরণে কুড়ি জন নিহত, আহত বহু। বোকো হারাম ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীই এই ভয়াবহ কাণ্ডের জন্য দায়ী।
|
নিউট গিংরিচ। এক কালের নিউ ইয়র্ক মেয়র, রিপাবলকান পার্টির অন্যতম শীর্ষ নেতা। ২০১২ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিপাবলিকান প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আছেন। আয়ওয়া ও নিউহ্যাম্পশায়ার রাউন্ডে জয় পেয়ে এখনও দৌড়ে এগিয়ে মিট রমনি। তবে এই সপ্তাহে সাউথ ক্যারোলাইনায় প্রবল ভাবে এগিয়ে এলেন গিংরিচ। ওবামার বিরুদ্ধে লড়বেন কে? রমনি? গিংরিচ? |
|
সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন উইলমার ভিয়ার। চার বছরের কারাদণ্ড হয় তাঁর। অভিযোগ ছিল, তিনি প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের অসম্মান করেছেন এবং গ্রেফতারিতে বাধা দিয়েছেন। দণ্ডাদেশের প্রতিবাদে অনশন শুরু করেন উইলমার। পঞ্চাশ দিন অনশনের পরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এর সম্পূর্ণ দায় স্বীকার করে সরকার জানিয়েছে, এই মৃত্যু ‘অবশ্যম্ভাবী’ ছিল। দেশের নাম কিউবা। ফিদেল কাস্ত্রোর বেটন এখন রাউল কাস্ত্রোর (ছবি) হাতে, কিছু কিছু ব্যাপারে সরকার আগের চেয়ে ঈষৎ সহনশীল, কিন্তু রাজনৈতিক বিরোধিতা দমনে নির্মম না হলে বোধহয় তাসের ঘর ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। অতএব একত্রিশ বছরের উইলমারের মৃত্যু কেন বাধ্যতে? |
আসল নাম ফ্রাঁসোয়া, সেই নামেই লেখালিখি, কিন্তু ইংল্যান্ডে কদাচ সেই নাম ব্যবহার নয়। সেখানে নাম লিখতেন ফ্রান্সিস। ফ্রান্সিস ভলতেয়ার। লিখবেনই তো। কেননা তখন এই অসামান্য ফরাসি দার্শনিকের দরকার ছিল অর্থ, দরকার ছিল ব্রিটিশ সম্ভ্রান্ত সমাজের স্বীকৃতি ও মাখামাখি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নিকলাস ক্রঙ্ক-এর সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, প্রচুর টাকাপয়সা ইংল্যান্ড থেকে পেয়েও ছিলেন ভলতেয়ার। ‘প্রচণ্ড সুযোগসন্ধানী’ বলছেন ক্রঙ্ক। বহু অপ্রকাশিত চিঠির উপর ভিত্তি করে এই গবেষণা। ফ্রান্সের রাজ-বংশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। এখন হচ্ছে ইংল্যান্ডের সমাজের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক উন্মোচন। |
ভূমধ্যসাগরে একটি ডুবন্ত প্রমোদজাহাজ। দুই ক্যাপটেন। এক ক্যাপটেন জাহাজেরই নিজস্ব ক্যাপটেন, নাম ফ্রানসেস্কো সেটিনো। জাহাজ জলে ডুবতে শুরু করতেই এই ক্যাপটেন লাইফবোটে করে পালানোর চেষ্টায় ছিলেন। তাঁকে শেষ পর্যন্ত প্রবল বকাবকি করে জাহাজে ফিরিয়ে আনেন আর এক ক্যাপটেন, আসলে যিনি কোস্ট গার্ড, যাঁর নাম গ্রেগরিয়ো ডি ফ্যালকো (ছবি)। সেটিনোর বিচার চলছে, সেখানে শোনা গেছে একটি ফোন-আলাপ, ফ্যালকো কী ভাবে ভর্ৎসনা করছেন সেটিনোকে। ফ্যালকো এই কাজের জন্য আপাতত ইতালির জাতীয় নায়কে পরিণত। |
আগামী এপ্রিলে মায়ানমারের পার্লামেন্টের ৪৮টি আসনে উপনির্বাচন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে নিষেধাজ্ঞা-মুক্ত বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডিমক্র্যাসি। ইয়াঙ্গনের দক্ষিণে কামু কেন্দ্রে এন এল ডি’র প্রার্থী হিসাবে নিজের নাম নথিভুক্ত করেছেন আউং সান সু চি। বহু দিন নির্বাসিত রাখার পর কেবল তাঁকে মুক্তিই দিল না বর্তমান সরকার, নির্বাচনেও তা হলে তাঁকে লড়তে দিল। ভাবা যাচ্ছিল না কয়েক দিন আগেও। নিশ্চিত ভাবেই, গণতন্ত্রের পথে আরও এক পা। |
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর যত ছাত্রছাত্রীর ভর্তির আবেদন জমা পড়ে, পড়ার সুযোগ পায় তাদের খুব সামান্য অংশ। বাকিদের বাড়িতে ‘রিজেকশন লেটার’ পৌঁছোয়। কিন্তু, ১৯ বছরের এলি নোওয়েল অক্সফোর্ডকেই প্রত্যাখ্যানপত্র পাঠিয়েছে। সে আইন পড়বে বলে আবেদন করেছিল, কিন্তু ইন্টারভিউ দিতে এসে নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাবভাব তার পছন্দ হয়নি। নিজের অপছন্দের কথা বিশদ জানিয়ে সে লিখেছে, সে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছে যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি তার মানের উপযোগী নয়। অক্সফোর্ড যেন ফের তাকে ভর্তি করার চেষ্টা না করে! |