একদা গান ছিল, আবার তুই মানুষ হ! এক্ষণে সামান্য পরিবর্তনের পরে তাহা দাঁড়াইয়াছে, আবার তুই গরিব হ! আহা, কী আনন্দ, আকাশে বাতাসে! বি পি এল কার্ড পাইবার জন্য লাইন লাগিয়াছে। কিছু যোগাযোগ, যথাযথ পদতলে কিছু তৈল প্রদান, প্রয়োজনে দুই-চারিটি ফাইফরমাস খাটিয়া দিলেই মিলিবে সেই দুর্লভ কাগজখণ্ড। দারিদ্রসীমা একটি বিচিত্র নিয়ন্ত্রণরেখার ন্যায় দেখা দিয়াছে। কে তাহার ভিতরে, কে-ই বা বাহিরে, তাহা লইয়া আসর সরগরম। প্রবল গোলমালে জলটি ঘুলাইয়া দিবার মতলব সর্বত্র। তৎক্ষণাৎ, মৎস্যশিকারিগণ নামিয়া পড়িয়াছেন। অর্থাৎ, প্রান্ত আর নিছকই প্রান্ত নাই। এত কাল যাহাকে প্রান্ত ভাবিয়া নাসিকা কুঞ্চনের আপ্রাণ প্রয়াস ছিল, এখন সেই বর্গে পড়িবার জন্য কী আকুলতা! দারিদ্রের এমন আশ্চর্য সাধনা দেখিলে মহামতিগণ খুশি হইতেন। কে বলে, জনচিত্ত অর্থের জন্য লালায়িত! কে বলে, অর্থসম্পদের বাহ্বাস্ফোট বিনা অন্য কিছু জনতার ওষ্ঠাধরে দেখা দেয় না! চিত্তবনে দারিদ্র-মঞ্জরীটি গুঞ্জরিত হইয়া উঠিয়াছে। সম্পদে যে থাকে ভয়ে, দারিদ্রে যে একান্ত নির্ভীক, তেমন বেশ কিছু মনুষ্যের সন্ধান মিলিয়াছে। চিন্তা নাই। সুদিন আসন্ন! |