পাঁচ বছরে গড়ে প্রত্যেকের প্রায় এক কোটি টাকার সম্পদ বেড়েছে। অবশ্যই সরকারে ক্ষমতায় থাকার সুবাদে। মণিপুরের কাংগ্রেস শাসিত সরকারের যাঁরা এ বারে টিকিট পেয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ পর্যালোচনা করতে গিয়েই এই তথ্য সামনে এসেছে। দেখা গিয়েছে, শাসক সরকারের বিধায়কদের মধ্য সব থেকে গরিব যিনি তাঁর নাম ওক্রাম ইবোবি সিংহ। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ৬ লক্ষ টাকা।
উত্তর প্রদেশের ‘বহিনজি’র ৮৭ কোটির সম্পদের তুলনায় ওক্রাম ইবোবির দীনতা নজরকাড়া! এমনকী ইবোবির প্যান কার্ড অবধি নেই। আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে, সবচেয়ে দরিদ্র মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি-ই। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে লজ্জায় ফেলছেন তাঁর বিধায়করা। মনোনয়ন দাখিল করে ইবোবি যে হিসেব দিয়েছেন তাতে দেখা যাচ্ছে: তাঁর কাছে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। নগদ, গয়না মিলিয়ে আরও ২,৬৯,৪৭২ টাকা। তবে যে ৪১ জন বিধায়ক এ বার ফের লড়ছেন, তাঁদের মধ্যে ২৭ জন কংগ্রেসী বিধায়ক কোটিপতি। গতবারের নির্বাচনে জেতা বিধায়করা এই পাঁচ বছরে গড়ে ৯৮ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত সম্পদ তৈরি করেছেন। এদের মধ্যে কংগ্রেসের টি এন হাওকিপ ২০০৭ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৯ কোটি টাকা ‘রোজগার’ করে ফেলেছেন। ২০০৭ সালে ২৯ লক্ষ টাকা নিয়ে বিধায়ক হওয়া হাওকিপ এখন ১০ কোটির মালিক।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ভুবন সিংহ খান্ডুরি স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারি হলেও, বাকি সব মুখ্যমন্ত্রীই স্নাতক। মণিপুরের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের মধ্যে ৫৪ জন দ্বাদশমান বা তার নীচে অবধি পড়েছেন। একজন পড়েছেন পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত। ১০ জন ডক্টরেট। ইম্ফল-মায়াং থেকে দাঁড়ানো তৃণমূল প্রার্থী খোংখম মাংলেম সিংহ নিরক্ষর। তবে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা। আবার মণিপুরের দরিদ্রতম প্রার্থীও তৃণমূলের। কাংপোকপির খাগদা বাহাদুর। স্নাতক খাগদার কানাকড়ি সম্পত্তিও নেই। একই অবস্থা ওইনামের বিজেপি প্রার্থী রোমিওর। সব সম্পত্তির ঘরেই ‘শূন্য’ লেখা। থৌবালে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির মহিলা প্রার্থী ওইনাম ইন্দিরা। নগদ মাত্র ১৫ হাজার ৪৪৪ টাকা সম্বল করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়তে নেমেছেন তিনি। |