নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে এ বার দিল্লির রাজপথে ছুটবে পঞ্জাব মেল। তবে সত্যি সত্যি নয়, রেলের ট্যাবলোতে। একশো বছর টানা ছুটে চলার ‘স্বীকৃতি’ এ ভাবেই পাচ্ছে ট্রেনটি।
ট্রেনটি প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল ১৯১২ সালের ১ জুন। যাত্রাপথ ছিল মুম্বই থেকে অবিভক্ত ভারতের পেশোয়ার পর্যন্ত। মুম্বই বন্দরে নামা ‘রাজকর্মচারী’রা কিংবা তাঁদের পরিবারের লোকেদের দিল্লি বা উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে পৌঁছে দিতে ট্রেনটির গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। যদিও তখন ট্রেনটির নাম ছিল ‘পঞ্জাব ইউনাইটেড’। মুম্বই-ভোপাল-আগরা-দিল্লি-ভাতিন্দা হয়ে ট্রেন পৌঁছে যেত পেশোয়ার। তার পর সময়ের সঙ্গেই পাল্টে যায় ট্রেনের নাম। হয় পঞ্জাব মেল। দেশভাগের পর ছোট হয় যাত্রাপথও। রেল মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নেয় ভারত-পাকিস্তানের সীমান্তে থাকা ফিরোজপুর পর্যন্ত ট্রেনটি চালানোর। বর্তমানে ওই ট্রেনটি মোট ছ’টি রাজ্যের মধ্যে দিয়ে রোজ প্রায় দু’হাজার কিলোমিটার পাড়ি দেয়। |
পঞ্জাব মেলের এই ট্যাবলোই ছুটবে দিল্লির রাজপথে। ছবি: প্রেম সিংহ |
গত বছরের অগস্ট মাসে রেলের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ভাবে তিনটি মডেল প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে জমা দেওয়া হয়েছিল। পঞ্জাব মেল ছাড়াও তাতে ছিল রেল সেতু এবং ‘হিল রেলওয়ে নেটওয়ার্ক’-এর মডেল। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সবুজ সঙ্কেত দেয় পঞ্জাব মেলকেই। মন্ত্রক যে ট্যাবলোটি বানিয়েছে তাতে মাঝখানে থাকবে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনে টানা ট্রেন। আর দু’পাশে অতীতের বাষ্পচালিত ইঞ্জিন। মন্ত্রক জানিয়েছে, পঞ্জাব মেলের ইঞ্জিনের বাষ্প থেকে বিদ্যুতে বিবর্তনের ধারাটিও তুলে ধরা হচ্ছে ওই ট্যাবলোতে। আর যে হেতু পঞ্জাব মেল, তাই ট্যাবলোয় ভাঙরা নাচতে দেখা যাবে একাধিক রেলকর্মীকে। |