সঞ্জয় চক্রবর্তী • শিলিগুড়ি |
হাটে গরু-মোষ বিক্রির কর বাবদ সংগৃহীত কয়েক লক্ষ টাকা নয়ছয় হয়েছে, এই অভিযোগ ওঠায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিডিও। শিলিগুড়ির খড়িবাড়ির রানিগঞ্জ পানিশালি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকারীহাটের ঘটনা। যে কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁদের দোষ প্রমাণিক হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য দিলীপ অগ্রবালের মদত রয়েছে রয়েছে কি না তা দেখার দাবি তুলেছেন বাসিন্দাদের একাংশ। অভিযোগকারীদের চাপে সম্প্রতি পঞ্চায়েতের সাধারণ সভায় বিষয়টি আলোচনা হয়। বৃহস্পতিবার ওই পঞ্চায়েতের নির্দল প্রধান হান্দরু ওঁরাও খড়িবাড়ির বিডিও মানবেন্দ্র দেবনাথের কাছে তদন্তের আর্জি জানান। তার পরেই বিডিও তদন্তের নির্দেশ দেন। বিডিও বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে অভিযুক্ত তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ হবে।” দিলীপবাবু দুর্নীতিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “যে সমস্ত কর্মী কর আদায় করেছেন তাঁদের পঞ্চায়েত থেকে নিয়োগ করা হয়েছে। দুর্নীতি হয়ে থাকলে প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক। আমাকে জড়ানোর চেষ্টা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যাঁরা ভুয়ো অভিযোগ জমা দিয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।” এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান হান্দ্রু ওরাঁও জানান, এলাকার বাসিন্দা এবং পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশ অভিযোগ জানানোর পরে পঞ্চায়ত তদন্ত করে। প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁরা বিডিওকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান। প্রধান বলেন, “পঞ্চায়েত থেকে কেন প্রয়োজনীয় সংখ্যক রসিদ বই নেওয়া হচ্ছে না তা দেখতে গিয়ে নয়ছয়ের ঘটনাটি ধরা পড়ে। তার পরেই বিডিওকে জানানো হয়। পঞ্চায়েতের সব সদস্য মিলে এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সভা করে সদস্যের বিরুদ্ধে বিডিওকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিই।” খড়িবাড়ির ওই হাটে রোজ কয়েকশো গরু ও মোষ বিক্রি হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে গরু পিছু ৫ টাকা এবং মোষ পিছু ১০ টাকা করে কর আদায় করা হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশ কিছু রসিদ গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে জমা দিয়েছেন। ডিসেম্বর মাসে বিলি করা ওই সমস্ত রসিদের কোথাও ক্রমিক নম্বর নেই। কোথাও ক্রমিক নম্বরের সঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েতের রসিদ বইয়ের ক্রমিক নম্বরের মিল নেই। গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ছাপা হয়নি এমন রসিদও মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। |