কলেজে অশান্তি, স্তব্ধ ট্রেন
লেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে গোলমাল কেন্দ্র করে রেল এবং রাস্তা অবরোধ করল এসএফআই। দক্ষিণ বারাসতের এই ঘটনায় শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত নাজেহাল হলেন সাধারণ মানুষ।
পুলিশ জানায়, এ দিন জয়নগরের দক্ষিণ বারাসতের ধ্রুবচাঁদ হালদার কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে প্রথম দফার গণনায় ৩৯ আসনের মধ্যে এসএফআই ২০টি এবং টিএমসিপি ১৯টি আসন পায়। টিএমসিপি পুনর্গণনার দাবি তোলে। পুনর্গণনয় এসএফআই এবং টিএমসিপি দু’পক্ষই ১৯টি করে আসন পায়। একটি আসনের ফল নিয়ে গোলমাল বাধে। এসএফআই এবং টিএমসিপি-র মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। বিরাট পুলিশবাহিনী আসে।
এসএফআইয়ের দাবি, ওই আসনে তারা জিতেছে। টিএমসিপি ফের পুনর্গণনার দাবিতে অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকদের ঘেরাও করে। পরে অধ্যক্ষের ঘরের সামনে রাত পর্যন্ত ‘অবস্থান’ চালায়। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, “অধ্যক্ষ ওই আসনে পুনর্গণনার সিদ্ধান্ত না-নেওয়া পর্যন্ত অবস্থান চলবে। অধ্যক্ষ সিপিএমের হয়ে কাজ করছেন। অন্যায় ভাবে ওই আসনে এসএফআই-কে জয়ী ঘোষণা করতে চাইছেন।” অধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন সাঁতরার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মোবাইল বন্ধ ছিল।
পুলিশ তাদের কর্মী-সমর্থকদের উপরে লাঠি চালিয়েছে বলে অভিযোগে এসএফআই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দক্ষিণ বারাসত স্টেশনে রেললাইন অবরোধ করে রাখে। রেল সূত্রের খবর, অবরোধের জেরে লক্ষ্মীকান্তপুর-শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিতে হয়। রাত ১১টা নাগাদ অবরোধ উঠলেও ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে রাখায় গভীর রাত পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু করা যায়নি। পুলিশ লাঠি চালানোর অভিযোগ মানেনি। তারা জানিয়েছে, কলেজ থেকে ‘বহিরাগতদের’ বার করে দেওয়া হয়। চার রাউন্ড কার্তুজ-সহ আটক করা হয়েছে দু’জনকে। কলেজে বোমাবাজিও হয় বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। দীর্ঘ ক্ষণ ট্রেন না-পেয়ে উত্তেজিত জনতা দক্ষিণ বারাসত স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে ভাঙচুর চালায়।
সন্ধ্যা থেকে রেল অবরোধ চলায় শিয়ালদহ এবং অন্যান্য স্টেশনেও প্রচুর যাত্রী আটকে পড়েন। দু’-এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরে অনেকে সড়কপথে রওনা দেন। কিন্তু বারুইপুর-জয়নগর রোডে অবরোধের জেরে সেখানেও গাড়ির লাইন পড়ে যায়। রাত ৮টা থেকে শিয়ালদহে আটকে ছিলেন আশিস মণ্ডল নামে জয়নগরের এক বাসিন্দা। কলকাতার এক বেসরকারি সংস্থার ওই কর্মী বলেন, “বাড়ি ফেরার জন্য এসে দেখি, অবরোধে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কখন ফিরব, জানি না।” একই অবস্থা দক্ষিণ বারাসতের বাসিন্দা জয়দেব হালদারের। তিনি বলেন, “কয়েক জন বন্ধু সড়কপথে রওনা দিয়েছেন। কিন্তু ফোনে শুনলাম, রাস্তায় গাড়ি আটকে থাকার জন্য ওঁরাও পৌঁছতে পারেননি।” নাকাল যাত্রীদের একটাই প্রশ্ন, “এ ভাবে সাধারণ মানুষকে হয়রান করে কী লাভ, বলুন তো?”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.