|
|
|
|
|
|
|
নানা রকম... |
|
রেশ রয়ে যায় |
আশিস চট্টোপাধ্যায় |
সকাল ও দুপুরে সমাবর্তন। সন্ধ্যায়- মার্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই ভাবেই উদযাপিত হল প্রাচীন কলা কেন্দ্রের ঊনচল্লিশতম সমাবর্তন উৎসব উত্তম মঞ্চে। এই শহরে সাম্প্রতিক মৃত্যু মিছিলের স্মরণে অনুষ্ঠানের শুরুতেই নীরবতা পালন। প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন শিল্পী শুভাপ্রসন্ন। প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন সঙ্গীতাচার্য অমিয়রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দীক্ষান্ত ভাষণ দেন সঙ্গীত শিল্পী সুগত মার্জিত। দ্বিতীয়ার্ধে পৌরোহিত্য করেন চিত্রপরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী। প্রধান অতিথি কণ্ঠশিল্পী প্রদীপ দাশগুপ্ত এবং দীক্ষান্ত ভাষণ দেন অধ্যাপক গৌতম নাগ। প্রতিবারের মত এবারেও গুণী সম্মাননার আয়োজন ছিল। মানপত্র, স্মারক, অর্থমূল্যে সংবর্ধিত হলেন প্রবাদপ্রতিম কার্টুনিস্ট চণ্ডী লাহিড়ি, প্রথিতযশা তবলা শিল্পী অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। তরুণ সাংবাদিক কল্যাণ মৈত্র, প্রদ্যোত ভদ্র নামাঙ্কিত পুরস্কার পেলেন অনিষা ভাদুড়ি। সম্পাদক সজল কোশার ও রেজিস্ট্রার শোভা কোশার সকলকে স্বাগত জানান। জয়পুর ঘরানার কুশলী নৃত্য শিল্পী সমীরা কোশারের কত্থক নৃত্যানুষ্ঠানে সান্ধ্য সঙ্গীতানুষ্ঠানের সূচনা। |
|
ত্রিতালে নিবদ্ধ নাচের নান্দীপাঠ কৃষ্ণ বন্দনায়। এর পর একে একে ঠাট, আমদ, উঠান, পরন, চক্রদার, ছন্দ, লড়ি, পাল্টা পরমেলু, ঝুলা পরন, তেহাই প্রতিটি নিবেদনে অনায়াস দক্ষতার নিসংশয় প্রকাশ ছিল। যেমন রেওয়াজের উদাহরণ তেমন লাবণ্যের প্রকাশ দু’য়ে মিলে নৃত্য দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে। ঠুমরি ‘ছাড়ো ছাড়ো নাথ’ এবং ভজন ‘মেরি শুনো নাথ’ রূপায়ণে নৃত্যের পরিসমাপ্তি। দু’টি পদ সমীরার অভিনয় কুশলতার অভ্রান্ত উদাহরণ বহন করে। ফতে সিং গাংগানির উদ্দীপক তবলা, রমেশ পরিহারের সুললিত কণ্ঠসঙ্গীত, মামুদ খানের সাবলীল তবলা ও মহেশ গাংগানির পরিচ্ছন্ন পড়ন্ত্ শিল্পীকে স্বস্তিতে রাখে। সেদিনের আসরের পরিসমাপ্তি ঘটল ওস্তাদ সাহিদ পারভেজের সেতারে ইমনের স্মরণীয় রূপায়ণে। সুরের পরিক্রমায় যেমন অঢেল সৌন্দর্য তেমন তাল লয়ের বিচিত্রতাও অনায়াস হয়ে উপস্থিত হয় তাঁর রূপায়ণে। দ্রুত এক তাল ও তিন তাল দু’টি গতই সুর-লয়-ছন্দ সৌন্দর্যে লাবণ্যমণ্ডিত হয়ে ওঠে। শেষের মিশ্র খাম্বাজ ধুনটি সুরের মন কাড়া কারুকাজ শেষ হয়ে যাবার পর রেশ রেখে যায়। শুভজ্যোতি গুহর সংযমী অথচ সরস তবলা অনেক উপভোগ্য মুহূর্ত সৃষ্টি করে। |
|
|
|
|
|