সরকারি দরে চালকলে ধান বিক্রির পরে চাষিরা যে টাকা পেতে হয়রান হচ্ছেন, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে বেশ কিছু চেক ‘বাউন্স’ হওয়ায় সেই অভিযোগ ফের সামনে এল।
ইতিমধ্যেই ওই জেলার বড়ঞা ও সাগরদিঘিতে ধানের দাম বাবদ পাওয়া চেক ‘বাউন্স’ করেছে। শুক্রবার সাগরদিঘির মেঘা, রতনপুর, ইমামনগর বা বোখরার মতো গ্রামগুলির অন্তত ২৪ জন চাষির দ্বিতীয় বার চেক ‘বাউন্স’ করে। বহরমপুরের একটি চালকল রতনপুর শিবির থেকে ওই চেকগুলি দিয়েছিল। সেগুলি দু’বার ‘বাউন্স’ করায় ধান বিক্রির পরে এক মাস পরেও চাষিরা কানাকড়ি পাননি বলে অভিযোগ। |
এমনই এক চাষি হুমায়ুন রেজার অভিযোগ, “১৩ ডিসেম্বর সরকারি শিবিরে ধান বিক্রি করে ১০,১৩০ টাকার চেক পাই। সে দিনই ব্যাঙ্কে জমা দিই। ২৭ ডিসেম্বর ব্যাঙ্ক জানায়, চালকলের অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। ‘বাউন্স’ করা চেক নিয়ে সে দিনই আমরা সাগরদিঘির বিডিও-র কাছে গিয়েছিলাম। তিনি চালকল মালিকের সঙ্গে কথা বলেন। নতুন করে চেক দেওয়া হয়। কিন্তু শুক্রবার সেই চেক ফের বাউন্স করেছে।” এর ফলে ব্যাঙ্ক তাঁদের ২০০ টাকা করে ‘জরিমানা’ও করেছে বলে চাষিদের আক্ষেপ। খাদ্য দফতরের জেলা আধিকারিক সমীর দেব বলেন, “ওই চালকল মালিককে শো কজ করা হয়েছে।’’
চালকল মারফত ধান কেনার মতো পর্যাপ্ত টাকা রাজ্য সরকারের ভাঁড়ারে আছে কি না, তা নিয়ে আগে থেকেই সংশয় প্রকাশ করছিলেন বিরোধীরা। বহরমপুরের যে চালকলের চেক দু’বার ‘বাউন্স’ করেছে বলে অভিযোগ, সেটির মালিক বিশাল চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য সে প্রশ্ন আরও
উস্কে দিয়েছে। তাঁর দাবি, ‘‘চালের দাম বাবদ সরকারের কাছে আমাদের ৫৩ লক্ষ টাকা পাওনা আছে। তা না পাওয়ায় আমার অ্যাকাউন্টে টাকা কমে গিয়েছিল। তাই চাষিরা টাকা পাননি।’’ রাজ্যের খাদ্য অধিকর্তা জয়দেব জানা এ ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন বলেও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। |