জেলায় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্প চালু হয় ২০০৯ সালে। প্রকল্প চালুর তিন বছর পরে উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে তা চালু হল। বুধবার ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকায় এলাকার নয়াটুলি থেকে পারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার বেডমিশালি রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এলাকার ৪০০ বিপিএল পরিবারভুক্ত পরিবার ওই প্রকল্পে কাজ পাবেন। করণদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শঙ্কর হেমব্রম বলেন, “ওই পঞ্চায়েত এলাকার বিপিএল তালিকাভুক্ত বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির কাছে একশো দিনের প্রকল্পের কাজ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আজ তা চালু হল। রাস্তা তৈরির কাজে পঞ্চায়েত এলাকার সমস্ত বিপিএল তালিকভুক্ত বাসিন্দাদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিয়োগ করা হচ্ছে। ব্লকের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই যাতে এই প্রকল্পে কাজ শুরু করা যায় সেই বিষয়ে আমরা উদ্যোগী হয়েছি।” পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ৮ হাজার বাসিন্দা রয়েছেন। তার মধ্যে পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে প্রায় ৪০০ জনের নাম বিপিএল তালিকায় রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই কয়েক বছর আগে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করার জন্য জব কার্ড পান। ওই প্রকল্পের কাজ শুরু না হওয়ায় এতদিন এলাকার বিপিএল তালিকাভুক্ত বাসিন্দারা দিনমজুরি করে সংসার চালাতেন। প্রকল্পে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ এলাকায় রাস্তা তৈরির কাজে নিয়োগ করেছেন গণেশ সিংহ, গীতা সিংহ, আকালু সিংহ, মহম্মদ এনামুল, রঞ্জিত মাহাতোর মতো বিপিএল তালিকাভুক্ত বহু বাসিন্দাকে। তাঁরা বলেন, “দিনমজুরি করে সংসার চলে। অনেকে কাজের খোঁজে ভিন রাজ্যে চলে গিয়েছে। এখন থেকে নিয়মিত ওই প্রকল্পের কাজ চালু রাখার জন্য প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে দাবি জানিয়েছি।” পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, নয়াটুলি থেকে পারগাঁও পর্যন্ত ওই রাস্তাটি ইট, বালি, মাটি, পাথর-সহ নানা সামগ্রী দিয়ে তৈরি হচ্ছে। রাস্তা তৈরি হলে পঞ্চায়েত এলাকার নয়াটুলি, পূর্ব পারগাঁও, পারগাঁও, ভাগশালা, সাধনপুর গ্রামের মতো একাধিক গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা উপকৃত হবেন।” শঙ্করবাবু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি বেহাল থাকায় বাসিন্দারা সত্যিই খুব সমস্যায় পড়েছিলেন। এ বার সেই সমস্যা মিটিবে আশা করি।” |