পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে ক্রমাগত ঠান্ডা বাড়ছে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ছয় জেলায় অধিকাংশ এলাকায় কুয়াশায় মোড়া ছিল। দুপুর নাগাদ রোদের ঝলক দেখা গেলেও তার তাপ ছিল খুবই কম। বিকালের পর থেকে তাপমাত্রা আরও কমে যায়। সেই সঙ্গে বইতে থাকে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। দুপুর নাগাদ শিলিগুড়ি-সহ কয়েকটি এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টা পর ঠান্ডা আরও বাড়বে বলে আবহাওয়া দফতরের অনুমান। সিকিমের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাত হয়েছে। দার্জিলিং পাহাড়ে নতুন করে বরফ না পড়লেও সন্ধ্যার পর থেকে জল জমে যায়। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “মূলত পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে ঠান্ডা বাড়ছে। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই অবস্থা আরও ২৪ ঘন্টা থাকবে। তার পরে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে শীত আরও জাঁকিয়ে পড়বে। দিনের তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রা বেশ নিচে যাবে।” |
আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, এদিন দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস,গ্যাংটকের ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শিলিগুড়ি ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে ১০ ডিগ্রি, মালদহে ১৫ ডিগ্রি ও বালুরঘাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী শনিবার এবং রবিবার তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। দার্জিলিং পাহাড়েও নতুন করে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং-এ এদিন সাপ্তাহিক বাজার বন্ধ থাকায় বিশেষ কাজকর্ম ছাড়া বাসিন্দারা বাড়ির বাইরে বার হননি। স্কুল, কলেজ এবং বিভিন্ন দফতরে হাজিরার সংখ্যা ছিল কম। শিলিগুড়িতে সকাল থেকে বিভিন্ন রাস্তায় আগুন পোহানোর ছবি দেখা গিয়েছে। সন্ধ্যার পর এই সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে। রাত ৯টা নাগাদই রাস্তাঘাট কার্যত শুনসান হয়ে পড়ে। একই ছবি ছিল জলপাইগুড়িতেও। পাহাড়ে তাপমাত্রা কমতে থাকলেও রাজনৈতিক উত্তাপ অব্যাহত। উত্তরাঞ্চল বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে দেরাদুনে যাচ্ছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ, সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরিরা। |
মোর্চা সূত্রের খবর, ৩০ জানুয়ারি উত্তরাঞ্চলে ভোট হবে। সেখানকার দেরাদুন আসনে মোর্চা এবার প্রার্থী দিয়েছে। ওই প্রার্থীর হয়েই গোর্খা অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে প্রচারে যাবেন মোর্চা সভাপতি। গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জি টি এ) নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আরেক দফায় আলোচনার জন্য মোর্চা সভাপতি দিল্লি যেতে পারেন। দলের তরফে সাধারণ সম্পাদক শুধু বলেন, “দেরাদুনে প্রচারে আমরা যাচ্ছি। সব সময়মত জানানো হবে।”
|
ছবি: অমিত মোহান্ত, হিমাংশুরঞ্জন দেব, রাজকুমার
মোদক ও সন্দীপ পাল। |