নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
যুব-সংসদ প্রতিযোগিতাতেও উঠে এল রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা প্রসঙ্গ। বিরোধীপক্ষ জানতে চাইল, কেন সরকারি হাসপাতালের দুরবস্থা? কেন চিকিৎসার অভাবে শিশু-মৃত্যু হচ্ছে? এ ক্ষেত্রে সরকারের কি কিছুই করণীয় নেই? সেই সঙ্গে দাবি উঠল, স্বাস্থ্য দফতরে কাজের হাল ফেরাতে সুষ্ঠু বদলি নীতি চালু করতে হবে। সরকারপক্ষ অবশ্য সাফাই দিয়েছে, রাজ্যে সুষ্ঠু বদলি-নীতি চালুই রয়েছে। হাসপাতালের পরিষেবা সংক্রান্ত যে সব অভিযোগ উঠছে, তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পর্যায়ের যুব-সংসদ ও প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতা। সব মিলিয়ে ৩৭টি স্কুল এতে যোগ দিয়েছে। এর আগে ব্লক ও পুরসভা স্তরে এই প্রতিযোগিতা হয়েছে। সেখানে যে সব স্কুল প্রথম হয়েছে, তারাই জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে। জেলায় মোট ২৯টি ব্লক ও ৮টি পুর-এলাকা রয়েছে। প্রতিটি ব্লক ও পুর-এলাকা থেকে একটি করে স্কুল জেলা যুব সংসদ প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে। প্রতিযোগিতা চলবে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত। মেদিনীপুর কলেজের বিবেকানন্দ হলে এর আয়োজন হয়েছে। এ দিন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) তথা প্রতিযোগিতা কমিটির সম্পাদক সংঘমিত্র মাকুড়-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
এ দিন গোড়ায় যুব-সংসদে যোগ দেয় নয়াগ্রাম হাইস্কুল। বিবেকানন্দ হলের মঞ্চে ‘নকল’ সভাকক্ষ তৈরি হয়। মাঝে বসেন অধ্যক্ষ (স্পিকার)। তাঁর ডানদিকে শাসকপক্ষ। বাঁদিকে বিরোধীপক্ষ। সংসদ শুরু হতেই সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে একের পর এক প্রশ্ন ছোড়েন বিরোধীপক্ষের সদস্যরা। জানতে চান, রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে কেন? শিক্ষাকেন্দ্রে অশান্তি চলছে কেন? ভর্তির ক্ষেত্রে লটারিই কি একমাত্র উপায়? জবাবে শাসকপক্ষ অবশ্য জানায়, লটারিতেই ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে। অন্য অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বলেন, “প্রতিযোগিতা ঘিরে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ রয়েছে। জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় যে তিনটি স্কুল প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হবে, তারা রাজ্য-স্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে।” |