সম্প্রতি অনুমোদন পাওয়া একটি জুনিয়র হাইস্কুলে বুধবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। আমন্ত্রণপত্রে উল্লিখিত থাকা সত্ত্বেও শিক্ষা দফতরের এবং ব্লক প্রশাসনের কোন কর্তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি। এর জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০-এর জুন মাসে বরাবাজারের নোয়াডি গ্রামে একটি জুনিয়র হাইস্কুল অনুমোদন পায়।
লটপদা পঞ্চায়েতের সদস্য নোয়াডি গ্রামের বাসিন্দা বিজেপির ভারতি মাহাতো বলেন, “স্কুলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে সাধারণ মানুষের খুব উৎসাহ ছিল। স্কুলের ভবন নির্মাণ ও ছাত্র ভর্তির বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোন আধিকারিক উপস্থিত হননি। নোয়াডি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছুটুলাল মাহাতো বলেন, “আমন্ত্রিতরা কেন উপস্থিত হলেন না বুঝতে পারছি না।” পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক রামজীবন মাহাতো বলেন, “আমিও ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলাম। কিন্তু কেউ হাজির না হওয়াতে আমি বিস্মিত হয়েছি। পরে বরাবাজার ব্লক অফিসে গিয়ে জানতে পারি, নতুন স্কুলের কাজকর্ম পরিচালনার জন্য প্রথমে ‘এডহক’ কমিটি গঠন করা হয়। এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। এতে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বিডিও, নির্বাহী বাস্তুকার, স্কুল পরিদর্শক থাকেন।” বরাবাজারের বিডিও দেবজিত বসু বলেন, “অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ওই কমিটির সচিব ও আহ্বায়ক। বরাবাজার এক চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক আমাকে না জানিয়ে কার্ডে নাম ছাপিয়েছেন।” বরাবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রণব নিয়োগী বলেন, “ওই স্কুল পরিদর্শক কাউকে না জানিয়ে একাই এই সব কাণ্ড করেছেন। ইতিপূর্বে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক বার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।” তাঁর দাবি, “খবর নিয়ে জেনেছি স্কুল নির্মাণ খাতের টাকায় ঝাড়খণ্ড থেকে সিমেন্ট আনার বরাত দিয়েছেন।”
বিডিও বলেন, “ওই পরিদর্শকের বিরুদ্ধে অনেক বার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জেলাশাসকের কাছে পরিদর্শকের বিরুদ্ধে রিপোর্ট পাঠিয়েছি।” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা ছিল সহকারী জেলা পরিদর্শক কুশধ্বজ মাহান্তির। তিনি বলেন, “জেলা অফিসে গুরুত্বপূর্ণ কাজে থাকায় অনুষ্ঠানে যেতে পারিনি। তবে শুনেছি ওখানে অনুষ্ঠান হয়েছে।” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক হওয়া সত্ত্বেও কেন হাজির ছিলেন না, বরাবাজার এক চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক অজয় বেরার প্রতিক্রিয়া, “জরুরি কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তাই হাজির থাকতে পারিনি।” |