টুকরো খবর
শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ
গাছের ডালে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক স্কুল শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার রাতে বাদুড়িয়ার আটুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সৌমেন ঘোষ (৩৪) নামে ওই শিক্ষকের দেহটি তাঁর বাড়ির পাশে একটি আমবাগানে মেলে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, আর্থিক কারণে মানসিক অবসাদে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌমেন বসিরহাট হাইস্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন। বছর দেড়েক আগে ওই স্কুলে যোগ দেন। বুধবার স্কুলে যাননি। সারা দিন বাড়িতেই ছিলেন। বিকেলের পরে তিনি সাইকেল নিয়ে বেরোন। আর ফেরেননি। পরে তাঁর ভাই দেহটি দেখতে পান। সাইকেলটি পড়েছিল মৃতদেহের কাছেই। সম্প্রতি বাড়ি করার জন্য বেশ কিছু টাকা ধার করেছিলেন সৌমেন। পাওনাদাররা এ জন্য কোনও ভাবে চাপ সৃষ্টি করছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য বসিরহাট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ পরিষ্কার হবে। বসিরহাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন রায় বলেন, “সৌমেন শান্ত প্রকৃতির ছিলেন। অধিকাংশ সময় চুপচাপ থাকতেন। তিনি যে এ ভাবে মারা যাবেন, ভাবতে পারছি না।”

পুরসভায় স্মারকলিপি
উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর-নৈহাটি রোডের অবস্থা। ছবি: পার্থসারথি নন্দী।
বেহাল রাস্তা সংস্কার, বার্ধক্য এবং বিধবা ভাতা বিলি-সহ ১০ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার তৃণমূল পরিচালিত অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভায় স্মারকলিপি দিল বামফ্রন্ট। পুরসভার সামনে এ দিন শহরের উন্নয়ন স্তব্ধ, এই অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ সভাও করে বামেরা। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক সত্যসেবী কর, সিপিআই নেতা শ্যামাপদ চক্রবর্তী, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা রঞ্জিত বিশ্বাস প্রমুখ। সত্যসেবীবাবুর অভিযোগ, “এই পুরসভায় সমস্ত রকমের পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কার্যত নৈরাজ্য চলছে।” পুরসভার বেশ কয়েক জন অস্থায়ী শ্রমিককে তাড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলে বামেরা। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার সামনে সিপিএমের সভা।--নিজস্ব চিত্র।
পুরপ্রধান সমীর দত্ত বলেন, “বিভিন্ন ধরনের ভাতার টাকা যখনই আসে, তখনই প্রাপকদের দিয়ে দেওয়া হয়। দ্রুত গতিতে রাস্তা সংস্কারের কাজও শুরু হয়েছে। পুরসভার বিরুদ্ধে আন্দোলনের কোনও বিষয় না পেয়ে ওরা রাজনৈতিক কারণে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিরোধিতা করছে।” কর্মী নিয়োগ নিয়ে কোনও অন্যায় হয়েছে বলে মানতে চাননি সমীরবাবু। তিনি বলেন, “বাম পুরবোর্ডের আমনে বেআইনি ভাবে ৩০১ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁদের সরিয়ে দিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে শ্রমিক নেওয়া হচ্ছে।”

টাওয়ারের ব্যাটারি চুরি, ধৃত
--নিজস্ব চিত্র।
একটি মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারি চুরির অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর থানার পুলিশ। বুধবার রাতে কাশীপুরের কামারাইট গ্রাম থেকে শুভ মণ্ডল নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। একটি গাড়ি সমেত চুরি যাওয়া ২৪টি ব্যাটারিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃত মহেশতলার জিঞ্জিরা বাজারের বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোরে নতুনহাটের একটি বেসরকারি মোবাইল ফোন পরিষেবা সংস্থার টাওয়ারের ব্যাটারির তার কাটা পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা ওই সংস্থায় খবর দেন। সংস্থার কর্মীরা এসে ব্যাটারি চুরির ঘটনা নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ বুধবার রাতে শুভকে ধরতে পারলেও তার বাকি তিন সঙ্গী পালিয়ে যায়। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

মৃতের নাম ভাঁড়িয়ে মামলা, কোর্ট হতবাক
মামলা রাজ্যের পরিবহণ দফতরের বিরুদ্ধে। মামলাটি করেছেন দুলাল দাস নামে পানিহাটির এক বাসিন্দা। শুনানিও হয়েছে। বৃহস্পতিবার রায়দান নিয়ে প্রস্তুতি চালাচ্ছিলেন বিচারপতি। হঠাৎ ছন্দপতন! কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্তের এজলাসে এক আইনজীবী জানালেন, আবেদনকারী দুলাল দাসের মৃত্যু হয়েছে ২০০৮ সালে। তাঁর দাবির পক্ষে কাগজপত্রও পেশ করেন ওই আইনজীবী। তার পরেই মামলাটি খারিজ করে দেন বিচারপতি করগুপ্ত। কী ভাবে মৃতের নাম ভাঁড়িয়ে এমন মামলা ঠুকে দেওয়ার ঘটনা ঘটল, তার তদন্তের জন্য সিআইডি-কে নির্দেশ দেন বিচারপতি। রিপোর্ট পেশের জন্য চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয় সিআইডি-কে। আবেদনকারী দুলালবাবুর অভিযোগ, তিনি তাঁর পুরনো বাসের বদলে নতুন বাস কিনতে চান। কিন্তু পরিবহণ দফতর অনুমতি দিচ্ছে না। রায়দানের পূর্ব মুহূর্তে আবেদনকারীর পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় বিচারপতি অবাক। তখনই নিজেকে আবেদকারীর পরিচিত বলে দাবি করে এক আইনজীবী বলেন, “এই দুলাল দাসের মামলা আগে করেছি। আমি তাঁর শ্রাদ্ধবাসরেও ছিলাম।” দুলালবাবুর হয়ে যে-আইনজীবী সওয়াল করেন, বিচারপতি তাঁর কাছে জানতে চান, আবেদনকারী ওকালতনামায় সই করেছেন। এটা কী ভাবে সম্ভব হল? ওই আইনজীবী জানান, এই মামলা তাঁর নয়। অন্য আইনজীবী তাঁকে নিয়োগ করেছেন।

গাড়ির ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
গাড়ির ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার সকালে গোলমাল ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের ঘোষপাড়া রোডে। উত্তেজিত জনতা গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ পাড়ার দোকানে চা খেয়ে বারুইপাড়া বিএল-২২ এলাকার বাড়িতে ফিরছিলেন যোগেন্দ্রপ্রসাদ সাউ (৬৮)। সঙ্গে ছিলেন প্রতিবেশী বিনোদপ্রসাদ। নৈহাটিগামী একটি গাড়ি দু’জনকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মারা যান যোগেন্দ্রবাবু। জখম বিনোদকে ভর্তি করা হয় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে। এ দিকে, ঘটনার পরে উত্তেজিত জনতা ধাওয়া করে গাড়িটিকে ধরে ফেলে। চালক পালিয়ে যান। গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় জনতা। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন আয়ত্তে আনে। পুলিশ বাহিনীও আসে ঘটনাস্থলে। দেহ পাঠানো হয় ময়না-তদন্তের জন্য। মিনিট পঁয়তাল্লিশ ওই রাস্তায় গাড়ি চলাচল বিঘ্নিত হয়।

ভুয়ো পাসপোর্ট, ধৃত ৩
ভুয়ো পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে ঢোকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার বিকালে ওই তিন জনের পাসপোর্ট দেখে অভিবাসন দফতরের আধিকারিকদের সন্দেহ হয়। তাঁরা বনগাঁ থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে তাদের গ্রেফতার করে। অভিবাসন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পাসপোর্ট তিনটিতে ছবি ওই তিন জনের হলেও সেগুলি অন্যের নামে রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতেরা জানিয়েছে, তাদের নাম বাচ্চু মিয়াঁ, রাসেদ মিয়াঁ এবং আলিকুল রহমান। প্রথম দু’জনের বাড়ি ঢাকার লালবাগে, তৃতীয় জন বাংলাদেশের খিলাগাঁওয়ের বাসিন্দা। তারা কাজের খোঁজে কলকাতায় আসছিল। এই তথ্য সঠিক কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতেরা হিন্দি ও উর্দুতে কথা বলছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের গোয়েন্দারা তাদের জেরা করছেন। পরীক্ষা করা হচ্ছে ধৃতদের মোবাইল ফোন, সিমকার্ড। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তিন জনকেই ৭ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

মতুয়া সম্মেলন বনগাঁয়
দু’দিনের বনগাঁ মহকুমা মতুয়া সম্মেলন শেষ হল বৃহস্পতিবার। মতুয়া সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মের ২০০ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে স্থানীয় টাউন হল মাঠে ওই সম্মেলন আয়োজিত হয়। এ দিন ডঙ্কা, কাঁসি, নিশান নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকজন শহরে শোভাযাত্রা করেন। সম্মেলনে হরিসঙ্গীত, হরিলীলামৃত পাঠ করা হয়। সম্মেলন থেকে উদ্বাস্তুদের দ্রুত নাগরিকত্ব ও পুনর্বাসন, বনগাঁয় গুরুচাঁদ ইন্ডোর স্টিয়ামের কাজ দ্রুত শেষ করা, ইছামতী সংস্কার-সহ ৯ দফা তোলা হয়। সম্মেলনে মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান উপদেষ্টা বীণাপাণি ঠাকুর (বড়মা), সঙ্ঘাধিপতি কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর, সহ-সঙ্ঘাধিপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে বক্তারা হরিচাঁদ ঠাকুরের জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.