দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূলের আনা অনাস্থায় ফের দেগঙ্গার চাঁপাতলা পঞ্চায়েত থেকে অপসারিত হলেন কংগ্রেস প্রধান। এই নিয়ে তিন বছরে তিন বার অপসারিত হলেন প্রধান। বার বার প্রধান অপসারণের ফলে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে তাঁরা অভিযোগ তুলেছেন।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের মোট সদস্য ১৭। ২০০৮ সালের ভোটে তৃণমূল এই পঞ্চায়েতে ৮টি, কংগ্রেস ৭টি এবং সিপিএম ও নির্দল প্রার্থীরা একটি করে আসনে জেতেন। নির্দলের সমর্থনে প্রধান হন তৃণমূলের আব্দুল রজ্জাক। কিন্তু দু’বছরের মাথায় স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন তৃণমূলেরই সাত সদস্য। তাঁদের সঙ্গে সামিল হন নির্দল সদস্যও। ভোটাভুটি এড়াতে পদত্যাগ করেন প্রধান। নতুন প্রধান হন কংগ্রেসের তরিকুল ইসলাম। কিন্তু বছর ঘুরতেই একই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধেও অনাস্থা আনেন কংগ্রেস ও তৃণমূলের ৭ জন। সিপিএম ও নির্দলের সমর্থনে নতুন প্রধান হন কংগ্রেসের মমতাজ বিবি। সম্প্রতি মমতাজের বিরুদ্ধেও অনাস্থা আনেন তৃণমূলের ৭ সদস্য এবং নির্দল সদস্য। বৃহস্পতিবার ১০-০ ভোটে হেরে যান মমতাজ। তিনি এ দিন পঞ্চায়েতে আসেননি। অনুপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের ৫ এবং সিপিএমের এক সদস্যও।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারে বারে প্রধান পরিবর্তনের ফলে উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছে, এই অভিযোগে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেওয়ায় এ দিন গণ্ডগোলের আশঙ্কা ছিল। পঞ্চায়েত অফিসের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে, কোনও গোলমাল হয়নি।
স্থানীয় তৃণমূূল নেতা কালু কাহারের অভিযোগ, “পঞ্চায়েতের কাজকর্মের ক্ষেত্রে কংগ্রেস প্রধান ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন। আমাদের নিষেধ শুনছিলেন না। সদস্যদের না জানিয়ে তিনি কাজ করতেন। ফলে, উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। তাই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়।”
অন্যদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মমতাজ বিবি। তিনি বলেন, “আমি দুর্নীতি করে থাকলে প্রশাসন তদন্ত করুক। আসলে এলাকায় যে ভাবে উন্নয়নের কাজ হচ্ছে, তা সহ্য করতে পারছিল না তৃণমূল। তাই মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাকে সরিয়ে দেওয়া হল। মানুষ ঠিক সময়েই এর জবাব দেবে।” |