|
|
|
|
চিরাগ নেভাল প্রয়াগ |
প্রীতম সাহা • কলকাতা |
প্রয়াগ ইউনাইটেড- ১ (ভিনসেন্ট)
চিরাগ কেরল- ০ |
বদলার ম্যাচে কোনও রকমে বদলা নিল প্রয়াগ ইউনাইটেড।
ম্যাচ শুরুর পনেরো মিনিটের মধ্যে কেইন ভিনসেন্টের উপস্থিত বুদ্ধি কাজে না লাগলে, তিন পয়েন্টও জুটত না কোচ সঞ্জয় সেনের ভাগ্যে। চিন্তাশেখর রাওয়ের লম্বা ভাসানো বল চিরাগের দুই ডিফেন্ডারের মাথার উপর দিয়ে সোজা এসে পড়ে নিউজিল্যান্ডের ফরোয়ার্ডের পায়ে। তার পরেই ভিনসেন্টের ডান পায়ের একটা কোনাকুনি শট। চিরাগ গোলকিপার শরৎ কে এবং দলের প্রধান স্টপার চার্লস জিসাহ বুঝতেই পারলেন না। আশ্চর্যের ব্যাপার হল, গোল খাওয়ার পরেই গোলকিপার বদলে ফেললেন চিরাগ কোচ পাকির আলি। আর মাঠে নামিয়ে দিলেন সদ্য ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা বাঙালি গোলকিপার অরিন্দম ঘোষকে। ম্যাচ শেষে পাকিরের যুক্তি, “শরৎ থাকলে আরও গোল খেতাম। তাই তাড়াহুড়ো করে অরিন্দমকে নামিয়ে দিলাম।”
চিরাগ যে গোলের সুযোগ পায়নি, তা নয়। ভিনসেন্ট গোল করার মিনিট পাঁচেক আগে দিনের সবচেয়ে সহজ সুযোগটা পেয়েছিলেন চিরাগের অনিল কুমার। বাঁ দিক থেকে বিনিথ যখন ক্রস তুলছেন, অনিল তখন অভিজিৎ মণ্ডলের সামনে একা দাঁড়িয়ে। তিনি অবশ্য বল গোলে না মেরে সাজিয়ে-গুছিয়ে হাতে তুলে দিলেন প্রয়াগ গোলকিপারের।
সব মিলিয়ে ম্যাচের প্রথম পনেরো মিনিট বাদ দিলে বাকি পুরোটাই অন্ধকার। ঘুমপাড়ানি আর উদ্দেশ্যহীন ফুটবলে ভরা। তিন পয়েন্ট পেয়ে খুশি প্রয়াগ কোচ ম্যাচের পরে বললেন, “জঘন্য রেফারিং। স্পনসরদের চাপ ছিল এই ম্যাচ জেতার জন্য। আগের হ্যাল ম্যাচ না জিততে পারার আফসোস ছিল। এ সবের মধ্যে যে জিততে পেরেছি, এটাই ভাল লাগছে।” চিরাগকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকায় কোনও রকম প্রভাব ফেলতে না পারলেও, করিম বেঞ্চারিফাকে ধরে ফেলল সঞ্জয় সেনের দল। ১৫ ম্যাচে এখন ২৫ পয়েন্টে সালগাওকর পাঁচে, প্রয়াগ ছয়ে। |
|
|
|
|
|