|
|
|
|
ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে পাক-রূপকথা |
সংবাদসংস্থা • দুবাই |
বিশ্বের এক নম্বর দল যদি মাঠের প্রতিপক্ষ হয়ে থাকে, মাঠের বাইরের চ্যালেঞ্জটাও কম কঠিন ছিল না। কুখ্যাত ‘লর্ডসগেট’-এর ছায়া মাথার উপর ছিল। ছিল দলের তিন ক্রিকেটারের হাজতবাসের কলঙ্ক। যাবতীয় প্রতিকূলতা, যাবতীয় চ্যালেঞ্জ মুছে গিয়ে দুবাইয়ে লেখা হয়ে রইল পাক ক্রিকেটের এক আধুনিক রূপকথা। যেখানে বিশ্ব ক্রিকেটের এক নম্বর দলকে মাত্র আড়াই দিনে হেলায় উড়িয়ে দিয়ে টেস্ট জিতে নিল মিসবা উল হকের পাকিস্তান।
২০১০-এর মহাবিতর্কিত সেই সিরিজের পর টেস্টে আবার মুখোমুখি ইংল্যান্ড-পাকিস্তান। এবং প্রথম টেস্টই বুঝিয়ে দিল বদলা নিতে কতটা মুখিয়ে আছেন মিসবারা। দিন কয়েক আগে উপমহাদেশের একটা দল আড়াই দিনে লজ্জার আত্মসমর্পণ করেছে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। আজ উপমহাদেশের অন্য দলটা দশ উইকেটে টেস্ট জিততে প্রায় ও রকমই সময় নিল। |
|
পাকিস্তানের মতোই উড়লেন ম্যাচের সেরা আজমল। দুবাইয়ে। ছবি: রয়টার্স |
পাকিস্তানের ঘরের মাঠ বলতে এখন দুবাই। তা সেখানে তৃতীয় দিনের শুরুতে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস শেষ হল ৩৩৮ রানে। ১৪৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড এ দিন ঝামেলায় পড়ে যায়। একশো রানের মধ্যে চলে যায় সাত উইকেট। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ১৬০ রানে। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৫ রান চার ওভারেই তুলে দেন পাক ওপেনাররা। তিন টেস্টের সিরিজে পাকিস্তান ১-০ এগিয়ে।
ইংল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে ভেঙেছিলেন পাক স্পিনাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে পাক স্পিনের সঙ্গে পেসেরও হদিশ করতে পারেননি ইংরেজ ব্যাটসম্যানরা। ইংল্যান্ডের প্রথম চার ব্যাটসম্যানই উমর গুলের শিকার। বাকি ছয় ব্যাটসম্যানকে ভাগাভাগি করে তুলে নেন অফ স্পিনার আজমল এবং বাঁ হাতি স্পিনার রেহমান। ম্যাচের সেরা আজমল। এই অফ স্পিনার আরও বলে রেখেছেন, দ্বিতীয় টেস্টে এ বার তিনি ‘তিসরা’ ডেলিভারি দেখাবেন। সেই ২০১০ সালে পারথে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর আর টেস্ট হারেনি ইংল্যান্ড। দশ টেস্ট বাদে অ্যান্ড্রু স্ট্রসদের অশ্বমেধের ঘোড়া হ্যাঁচকা টানে থামিয়ে দিয়ে পাক অধিনায়ক মিসবা বলছেন, “২০১০-এর পর আমাদের কিছু প্রমাণ করার ছিল। সেই কাজটাই করছি।” আর সে সময়ে পাক কোচের দায়িত্বে থাকা ওয়াকার ইউনিস বলেছেন, “ছেলেদের জন্য আমার গর্ব হচ্ছে। স্পট ফিক্সিং বিতর্ক ওদের মধ্যে থেকে সেরা খেলাটা বার করে এনেছে।” |
|
|
|
|
|