পারথ টেস্টের আগে টানা তিন দিন বিশ্রাম এবং গো কার্টিংয়ে ব্যস্ত ছিল ধোনির টিম ইন্ডিয়া। যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন সুনীল গাওস্করের মতো ব্যক্তিত্ব। অ্যাডিলেডেও বিশ্রামের ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে। অ্যাডিলেডে পৌঁছনোর পর আজ টিমকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। কোনওরকম প্র্যাক্টিস রাখা হয়নি। অধিকাংশ ক্রিকেটারই হোটেলের ঘরে বিশ্রামে ছিলেন। আর অধিনায়ক ধোনি, রাহুল দ্রাবিড়, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, বোলিং কোচ এরিক সিমন্স এবং বাকি সাপোর্ট স্টাফেরা বেছে নিয়েছিলেন শপিংয়ের রাস্তা। হোয়াইটওয়াশের মুখে দাঁড়ানো টিমের ক্রিকেটাররা যখন শপিংয়ে ব্যস্ত, একা অ্যাডিলেডের নেটে টিম ইন্ডিয়ার শুধু একজন। বঙ্গিপুরম বেঙ্কট সাই লক্ষ্মণ। |
অ্যাডিলেডের পরে তাঁকে অবসর নিতে বাধ্য করা হবে ধরে নিয়ে জল্পনা যখন তুঙ্গে, কঠোর ব্যটিং অনুশীলনে ব্যস্ত থাকলেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ লক্ষ্মণ। স্থানীয় নেট বোলারদের নিয়ে ব্যাট করলেন ঘন্টার পর ঘণ্টা। গত ছ’টা ইনিংসে মাত্র ১০২ রান করেছেন লক্ষ্মণ, গড় মাত্র ১৭। অ্যাডিলেড তাঁর ভাগ্য ফেরাক না ফেরাক, হাল ছেড়ে দেওয়ার রাস্তা বেছে নেননি লক্ষ্মণ। অবসর ঘোষণাও করেননি। পারথ টেস্টে দুই ইনিংসে লক্ষ্মণ করেন ৩১ ও ০। তার পরেই বোর্ড সূত্র উদ্ধৃত করে ভারতের এক জাতীয় দৈনিক লিখেছিল, লক্ষ্মণকে অ্যাডিলেড টেস্টের পরে অবসর নিতে বলা হয়েছে। এমনও হাওয়া ছিল যে অ্যাডিলেডেই প্রথম এগারো থেকে লক্ষ্মণকে বাদ দিয়ে খেলানো হতে পারে রোহিত শর্মাকে। বিরাট কোহলিকে বাদ দেওয়া কঠিন, কারণ পারথ টেস্টে দুটো ইনিংসেই তিনিই টিমের সর্বোচ্চ স্কোরার। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে, তত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে লক্ষ্মণ অ্যাডিলেড টেস্টে খেলবেন। সেই ইংল্যান্ড সফর থেকেই চলেছে লক্ষ্মণের ব্যর্থতা। বিদেশে শেষ সাতটি টেস্টে মাত্র তিনটি হাফ সেঞ্চুরি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে।
পারথ টেস্টের পরে প্রায় রোজই কোচ ডানকান ফ্লেচারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন লক্ষ্মণ। ভিডিও অ্যানালিস্টের সঙ্গে বসে বারবার দেখেছেন প্রতিটি ইনিংসের ভিডিও। সন্দেহ নেই, অ্যাডিলেডেই শেষ সুযোগ পেতে চলেছেন লক্ষ্মণ। |
অস্ট্রেলিয়ার হাতে ধোনির টিমের বিপর্যস্ত হওয়াকে গোটা উপমহাদেশের লজ্জা বললেন ওয়াসিম আক্রম। প্রাক্তন পাক অধিনায়কের মতে, “যেভাবে ভারত আত্মসমর্পণ করেছে সেটা উপমহাদেশের লজ্জা।” আক্রম যোগ করছেন, “সচিন, রাহুল, লক্ষ্মণরা সব এক এক জন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। কিন্তু অতীতের সাফল্য তো আর এখন ম্যাচ জেতাবে না।” এ দিকে কীর্তি আজাদ বলেছেন, সচিন, দ্রাবিড়, লক্ষ্মণ-রা যদি নিজেরা অবসর না নেন তা হলে নির্বাচকদের উচিত তিন জনকেই বাদ দেওয়া। |