কখনও হুঙ্কার, কখনও সরাসরি বিদ্রূপ। সিরিজ হেসেখেলে পকেটে, বিপক্ষ মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভারত টানা সাত টেস্ট হেরে পর্যুদস্ত, কিন্তু তাতে কী? উল্টে যত সময় যাচ্ছে, অস্ট্রেলীয়দের ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ ততই যেন বাড়ছে। বৃহস্পতিবার যেমন অস্ট্রেলীয় পেসের এক নম্বর বাজি পিটার সিডল বলে রাখলেন, কী ভাবে চলতি সিরিজে ভারতীয়দের দম আটকে মেরেছেন! “বড় ব্যাপার, আমরা গোটা সিরিজে একবারও ওদের রেহাই দিইনি। সব সময় চাপে রেখেছি,” বলেছেন সিডল। সিরিজের শেষ টেস্টেও যিনি ভারতকে আরও একবার পিষে ফেলতে চান। আগুনে মেজাজে বলেও দিয়েছেন, “আমরা ওদের শ্বাসরুদ্ধ করে মেরেছি। আবার মারতে চাই।”
তবে পারথে মাত্র আড়াই দিনে টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ায় আশ্চর্য সিডল। “আমি ভাল বল করেছিলাম। দু’দিনের একটু বেশি সময়ে টেস্ট শেষ করে দেওয়াটা নিশ্চয়ই ভাল ব্যাপার। কিন্তু ব্যাপারটা আমাকেও চমকে দিয়েছে।” ধোনিদের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়ে আবার আবিষ্কৃত হয়েছে এক নতুন তথ্য। খোঁজ পাওয়া গিয়েছে এক নতুন ধরনের ডেলিভারির, যা দিয়ে নাকি ধোনির ব্যাটিং অর্ডারের লেজকে নিয়ম করে ঘায়েল করেছে অস্ট্রেলিয়া!
এই মারণ-ডেলিভারির বৈশিষ্ট্য কী? না, ব্যাটসম্যানের স্টাম্পের বদলে বলটা যাবে ব্যাটসম্যানের শরীর লক্ষ্য করে। যাকে ডাকা হচ্ছে ‘থ্রোট বল’ অথবা ‘পারফিউম বল’ নামে। আর এই ডেলিভারির সময় অস্ট্রেলীয় পেসারদের মেজাজটা নাকি এমন থাকছে: টপ অর্ডারের বিরুদ্ধে নিশানা আর শৃঙ্খলা মেনে বল করে আমরা ক্লান্ত। তাই এ ভাবে যাবতীয় রাগ মেটাচ্ছি বিপক্ষ ব্যাটিংয়ের ‘লেজ’-এর উপর। এবং এক-আধ বার নয়, এই ডেলিভারি ব্যবহার করে জাহির-ইশান্তদের নাগাড়ে ব্যতিব্যস্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া। আর এ জিনিস কতটা কাজে এসেছে, তা একটা উদাহরণেই পরিষ্কার। ওয়াকা-য় দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের শেষ উইকেট পড়েছে ২৫ বলের মধ্যে। উঠেছে মাত্র ৯ রান! “ঠিকঠাক শর্ট বলটা করতে পারলে বেশির ভাগ টেলএন্ডারেরই সেটা পছন্দ হয় না। অন্তত আমার তো হয় না,” বলেছেন জেমস প্যাটিনসন। প্যাটিনসনদের পূর্বসুরি ব্রেট লি আবার চাইছেন, নখ-দাঁত বের করে আরও ভয়াবহ ভাবে অস্ট্রেলীয় পেসাররা জাহির-ইশান্তদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ুন। |