হাতি খেদানো অভিযান চলাকালীন বড়জোড়ায় হাতির হামলায় তিন জন জখম হলেন। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে, বড়জোড়ার দাঁপাড়ায়। বুধবার রাতে ওই এলাকায় মহাদেব সিংহের বাড়ি হাতির দলের হামলায় ভেঙে পড়ে। বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মহাদেববাবুর স্ত্রী শ্বেতাদেবী ও শিশুসন্তান প্রশান্ত গুরুতর জখম হন। রাতেই তাঁদের স্থানীয় বড়জোড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়।
অন্য দিকে, ওই হাতির দল বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় সয়েরগ্রামে ঢুকে কল্যাণী বাউরী নামে এক মহিলাকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে। এলাকার বাসিন্দারাই এদিন সকালে তাঁকে বড়জোড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বড়জোড়ার রেঞ্জ অফিসার সৌমেন মণ্ডল বলেন, “কল্যাণীদেবীর আঘাত গুরুতর। জখম তিনজনেরই চিকিৎসার দেখাশোনা আমরা করছি।” বাঁকুড়া (উত্তর)-এর ডিএফও এস কুলন ডেইভাল বলেন, “হাতির দলের একটা বড় অংশ বেলিয়াতোড়মুখী হয়ে সংগ্রামপুর পর্যন্ত এগোলেও কয়েকটি বাচ্চা নিয়ে ছোট একটি হাতির দল বড়জোড়ার সাহারজোড়া জঙ্গলে রয়ে গিয়েছে। হাতিদের সেই দলটি ওই তিনজনকে জখম করেছে।” তিনি জানান, এ দিন সাহারজোড়ায় রয়ে যাওয়া হাতির দলটিকে তাড়িয়ে সংগ্রামপুরে অবস্থান করা মূল দলের সঙ্গে ভিড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। হাতি আসা-যাওয়ার পথে মনোহর, শালুকা, সংগ্রামপুর প্রভৃতি গ্রামে চাষের জমি, বাড়ি ক্ষতি করেছে। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের কথা স্বীকার করে নিয়ে বনকর্তারা জানান, কম লোকজন নিয়েও তাঁরা হাতির দলটির ওপর নজরদারি চালাচ্ছেন। তবুও ক্ষয়ক্ষতি বাড়ায় মঙ্গলবার থেকে হাতি খেদানো অভিযান শুরু হয়েছে। কিন্তু ২০০ জন কর্মীতেও ওই ১০০ হাতির দলকে বাগে আনা যাচ্ছে না। বাঁকুড়া উত্তরের ডিএফও দাবি করেন, “আমাদের দিক থেকে কোন ত্রুটি নেই। কিন্তু এই এলাকার খাবার হাতিদের খুব পছন্দ। তাই তাদের কোনও ভাবেই দলমামুখী করা যাচ্ছে না।” হাতিদের ফেরার পথে বাসিন্দাদের ‘ব্যারিকেড’ না গড়ে তোলার জন্য তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন। |