সব ঠিকঠাক থাকলে আসন্ন উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে সংযুক্ত জনতা দলের (জেডিইউ) সঙ্গে জোট বাঁধতে চলেছে তৃণমূল।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই দু’দলের মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। নীতীশ কুমারের দলের তরফে এ বিষয়ে কিছু স্বীকার করা না হলেও তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, একসঙ্গে নির্বাচনে লড়া নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনা চলছে। আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে স্পষ্ট ঘোষণা করা হবে।
শেষ পর্যন্ত তৃণমূল এবং জেডিইউ এক সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে লড়লে তার তাৎপর্য আরও সুদূরপ্রসারীহবে বলেই সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য। তাদের মতে, আগামী লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সম্ভবত একটা জোট গড়ার পথে এগোচ্ছেন নীতীশ-মমতা। আর সে ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটের পরে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সমীকরণ পাল্টে যেতে পারে।
ইউপিএ সরকারের বড় শরিক হয়েও তৃণমূল যে ভাবে বিজেপি-র জোটসঙ্গী জেডিইউ-এর সঙ্গে নির্বাচনী আঁতাঁত গড়ে তুলতে চাইছে, তাতে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে কংগ্রেস শিবিরে। অনেকের মতে কংগ্রেসের একাংশ যখন মুলায়ম সিংহ যাদবকে সামনে রেখে মমতাকে চাপে রাখার চেষ্টা করছেন, তখন নীতীশকে সঙ্গে নিয়ে এটা মমতার পাল্টা চাপের রাজনীতি।
এনডিএ শরিক নীতীশের সঙ্গে কী ভাবে জোট গড়ছেন মমতা, সেই প্রশ্ন স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে। একদা বাজপেয়ী সরকারে থাকা মমতা এনডিএ ছেড়ে আসার পরে পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘুদের পাশে পেয়েছেন।
গত লোকসভা নির্বাচন থেকে তাঁর একের পর এক নির্বাচনী সাফল্যের অন্যতম কারণ সেটাও। এই অবস্থায় নীতীশের সঙ্গে জোট গড়লে রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে তৃণমূলের একাংশেরও আশঙ্কা। উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা
সুলতান আহমেদ অবশ্য বলেন, “ওই রাজ্যে বিজেপি-র সঙ্গে নীতীশদের জোট নেই। তা ছাড়া, কেন্দ্রে বিজেপি-র সঙ্গে থাকলেও জেডিইউ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। সেই ভাবমূর্তির কথা মাথায় রেখেই আমরা একসঙ্গে লড়ার কথা ভাবছি।”
যৌথ ভাবে লড়ার বিষয়টি নিয়ে সুলতান আহমেদ একাধিকবার বৈঠক করেছেন জেডিইউ নেতা শরদ যাদবের সঙ্গে।
শরদ সেগুলিকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বললেও সুলতান জানান, “ওই রাজ্যে দু’দলের একসঙ্গে লড়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে জেডিইউ যেখানে লড়বে না, সেখানে আমাদের প্রার্থীকে সমর্থন জানাবে। পরিবর্তে আমরাও নীতীশের দলকে সমর্থন করব। তবে ঠিক ক’টি আসনে জোট হবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। খুব দ্রুত তা সেরে ফেলা হবে।” |