|
|
|
|
রামপুরহাটে অধ্যক্ষ নিগ্রহ |
৬ ছাত্রের নামে পরোয়ানা জারি করতে পুলিশের আর্জি খারিজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
অধ্যক্ষ-নিগ্রহে ‘চিহ্নিত’ ৬ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) সদস্যের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য পুলিশের আবেদন খারিজ করে দিল রামপুরহাট আদালত। বৃহস্পতিবার এসিজেএম আনন্দকুমার তিওয়ারি প্রয়োজনীয় নথি দেখে জানান, সকলেই ছাত্র। তাঁদের মধ্যে কাউকে কাউকে আবার অসুস্থ হয়ে পড়া অধ্যক্ষের মাথায় জল দিতেও দেখা গিয়েছে টিভিতে। তাই এটা জামিনযোগ্য অপরাধ। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রশ্ন ওঠে না। আজ, শুক্রবার ওই ছাত্রদের আদালতে আত্মসমর্পণ করানো হবে বলে টিএমসিপি-র পক্ষে জানানো হয়েছে।
গত ১১ জানুয়ারি রামপুরহাট কলেজের অধ্যক্ষকে ‘মানসিক নির্যাতন’ ও ‘হেনস্থা’র অভিযোগ ওঠে কলেজের কয়েক জন ছাত্রের বিরুদ্ধে। অধ্যক্ষ অবশ্য তাঁর অভিযোগে কোনও ছাত্রের নাম না দিয়ে টিএমসিপি-র কথা উল্লেখ করেছিলেন। পরে ৬ ছাত্রকে নিগ্রহে ‘অভিযুক্ত’দের চিহ্নিত করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য আদালতে আবেদন করেন তদন্তকারী অফিসার পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে তিনি এ দিন আদালতে যান।
আইনজীবীদের একাংশ অবশ্য পুলিশের এই আর্জি নিয়েই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, কোনও মামলায় পুলিশ কাউকে অভিযুক্ত চিহ্নিত করলে তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করাবেএটাই দস্তুর। অভিযুক্তের হদিস না-মিললে ‘পলাতক’ দেখিয়ে চার্জশিটও দিতে পারে পুলিশ। তার বদলে পরোয়ানা জারির জন্য আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার দরকারই ছিল না বলে মত ওই আইনজীবীদের। বীরভূমের পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনাও বলেছেন, “গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন খারিজ হয়েছে বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে এসডিপিও-র (রামপুরহাট) কাছে রিপোর্ট চেয়েছি।”
বীরভূম জেলা এসএফআই সম্পাদক শতদল চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “অভিযুক্তেরা শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের সদস্য হওয়াতেই পুলিশ গ্রেফতারি এড়াতে চাইছে।” এ দিনই সিউড়িতে রামপুরহাট-কাণ্ডের প্রতিবাদে এসএফআই পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করে। পুলিশ সুপার অবশ্য বলেন, “পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চালাবে। না পাওয়া গেলে পলাতক দেখিয়েই চার্জশিট পেশ করা হবে।”
টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় আবার বলেছেন, “৬ ছাত্রের নাম আদালতে পাঠিয়ে পুলিশ ভুল করেছে। কারণ, অধ্যক্ষ কারও নামে অভিযোগ করেননি। আমরা ছাত্রদের পাশে আছি। আজ, শুক্রবার ওই ছাত্রদের আত্মসমর্পণ করাব।” সোমবারও ওই ছ’জনের আত্মসমর্পণের আবেদন করেছিলেন। অধ্যক্ষের অভিযোগে কারও নাম নেই বলে সেই আবেদন এসিজেএম খারিজ করে দেন। |
|
|
|
|
|