তিনটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রায় হাজার লিটার চোলাই উদ্ধার করল আবগারি দফতর। বৃহস্পতিবার পশ্চিম মঙ্গলকোটের কয়েকটি গ্রামে ওই অভিযানের সময়ে চোলাই তৈরির অভিযোগে গ্রেফতারও করা হয় তিন জনকে। ধৃতদের আজ, শুক্রবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
বৃহস্পতিবার আনন্দবাজার পত্রিকায় পশ্চিম মঙ্গলকোটের পালপাড়া, জালপাড়া ও গণপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় ফের রমরমিয়ে চোলাই ব্যবসা শুরু হওয়ার কথা প্রকাশিত হয়। এর পরেই এ দিন নড়েচড়ে বসে আবগারি দফতর। দুপুরে আবগারি দফতরের বর্ধমান জেলার অন্যতম আধিকারিক নওসাদ খানের নেতৃত্বে একটি দল পশ্চিম মঙ্গলকোটের ওই সব গ্রাম ছাড়াও মাঝখাঁড়া, মল্লিকপুরে হানা দেয়। ওই গ্রামগুলি থেকে প্রায় ১০০০ লিটার চোলাই উদ্ধার করে তারা। আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পালপাড়ার দিলীপ রায়, চিন্তা মাঝির বাড়িতে মাটি খুঁড়ে ব্লাডার ভর্তি ১৪০ লিটার চোলাই পেয়েছে পুলিশ। চিন্তা মাঝির ভাটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। |
উদ্ধার হওয়া চোলাই তৈরির সরঞ্জাম। নিজস্ব চিত্র। |
গুসকরা নাগরিক সুরক্ষা সমিতির সদস্য এবং স্থানীয় মহিলারা ওই সব গ্রামে চোলাই মদের কারবার নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে চিঠি দিয়েছিলেন। তাতে বহিরাগত দিলীপ রায়-সহ ৮ জন এলাকায় চোলাই মদের কারবার করেন বলে অভিযোগ জানান তাঁরা। পুলিশের দাবি, ধরা পড়ার পরে দিলীপ দাস তাদের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর কোনও ভাটি নেই। কিন্তু ওই গ্রামের ১০ জন এ রকম ভাটি চালান। মাঝখাঁড়া গ্রাম থেকে ষষ্ঠী দাস এবং ধীমান দাসকে একই অভিযোগে ধরেছে পুলিশ।
গুসকরা নাগরিক সমিতির সহকারি সম্পাদক তপন মাঝি বলেন, “আমরা প্রায় সপ্তাহখানেক আগে প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছিলাম। আবগারি দফতর কিছু করেনি। সংবাদপত্রে প্রকাশ হতেই ওই দফতর চোলাই বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছে। এ রকম অভিযান বন্ধ রাখলে চলবে না।” আবগারি দফতরের অভিযোগ, “ওই সব গ্রামে মহিলারা ভাটি চালান। আমাদের মহিলা কর্মী নেই। মহিলা পুলিশের সংখ্যাও অপর্যাপ্ত। তাই অভিযানে সমস্যা হয়।”
নওসাদ খান বলেন, “ওই সব এলাকায় ছোট ছোট ভাটি রয়েছে। আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি বলেই বৃহস্পতিবার তিন জনকে ধরা সম্ভব হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে আরও কয়েক জনকে গ্রেফতার করব বলে আশা করছি।” |