কলকাতার পরে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরের উপযুক্ত করে দুর্গাপুরকে গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগী হতে রাজ্যের নতুন সরকারকে আহ্বান জানালেন জোট শরিক কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, “বিধানচন্দ্র রায়ের স্বপ্নের নগরী বাম আমলে শ্মশান হয়ে গিয়েছে। নতুন সরকার উদ্যোগী হয়ে আধুনিক করে গড়ে তুলুক এই শহরকে।” বুধবার দুর্গাপুরে দলীয় এক কর্মসূচিতে এ কথা জানান প্রদীপবাবু।
চাষিরা ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না, কংগ্রেসের সঙ্গে শরিক সুলভ ব্যবহার করা হচ্ছে না, কয়লার অভাবে বিদ্যুৎ ও শিল্প ধুঁকছে। এমনই একগুচ্ছ অভিযোগে বুধবার বর্ধমান জেলা (শিল্পাঞ্চল) কংগ্রেস অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল দুর্গাপুরে মহকুমাশাসকের দফতরের পাশে। সেখানে ছিলেন বর্ধমান জেলা (শিল্পাঞ্চল) কংগ্রেস সভাপতি সুদেব রায়, সচিব দেবাশিস চৌধুরী প্রমুখ।
গাঁধী মোড় থেকে ধান, বিভিন্ন সব্জি নিয়ে মিছিল বের করেন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা। শহর ও আশপাশের গ্রামাঞ্চল থেকে এসেছিলেন তাঁরা। ধামসা, মাদল নিয়ে ছিলেন আদিবাসীরাও। পরে এসে পৌঁছন প্রদীপবাবু। ৩৪ বছর ধরে বামফ্রন্ট সরকার বিভিন্ন জন-বিরোধী কর্মসূচি নিয়ে এসেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এই অবস্থা থেকে বের হতে সময় লাগবে। কিন্তু সিপিএম যে পথে হেঁটেছিল সেই পথ ধরেই জোট সরকার চলবে না তা নিশ্চিত করতে হবে।”
প্রদীপবাবু তাঁর বক্তব্যে দুর্গাপুরের শিল্প পরিস্থিতি উল্লেখ করে জানান, প্রয়াত বিধানচন্দ্র রায় দুর্গাপুরকে আধুনিক শিল্পনগরী হিসাবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হন। কংগ্রেসও সেই উদ্যোগে সামিল হয়েছিল। ডিএসপি, এএসপি, ডিভিসি সব গড়ে উঠেছে বিধানচন্দ্র রায়ের আমলে। প্রদীপবাবুর অভিযোগ, বাম সরকার একটি সিমেন্ট কারখানার বেশি আর কিছু করেনি। এডিডিএ যথার্থ ভূমিকা নেয়নি। তিনি বলেন, “কলকাতার পরে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরের উপযুক্ত করে দুর্গাপুরকে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হোক সরকার। এই শহরের সেই সম্ভাবনা বিপুল। তা কাজে লাগাতে হবে।”
প্রদীপবাবুর পরামর্শ, “দুর্গাপুরের শ্রমিক সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসুন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী, নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রীরা। এই শহরের উন্নয়নে কী কী পদক্ষেপ করা যায় তা জেনে এগিয়ে যাক সরকার। কংগ্রেস সর্বতো ভাবে সাহায্য করবে।” |