টুকরো খবর
লাগাতার আন্দোলন
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছে কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের কর্ণজোড়া সিএমওএইচ ইউনিট কমিটি। গত মঙ্গলবার থেকে কমিটির সদস্যরা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সামনে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেছেন। প্রতিদিন টিফিনের সময় আন্দোলন করা হবে। ১৬ দফা দাবিও সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে। সংগঠনের অভিযোগ, “বছর খানেক জেলায় স্থায়ী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নেই। ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ছুটিতে গেলে কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কয়েকটি পদও ফাঁকা পড়ে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে কর্মী সংখ্যার সরকারি তথ্য নেই। গ্রুপ ডি পদে কর্মরত ৮৫ জন কর্মীর পদোন্নতি আটকে রয়েছে। ৬৫ জন চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মীকে স্থায়ী করা হচ্ছে না।” সংগঠনের সদস্যরা জানান, এড্স নির্ণয়ের ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরি ভ্যান দীর্ঘদিন ধরে বসিয়ে রাখা হয়েছে। একাধিক সরকারি গাড়ি মেরামত না করে গাড়ি ভাড়া করে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা খরচ করা হচ্ছে। গ্রুপ-ডি ও চালক-পোশাকের সরকারি অনুদান পাচ্ছেন না। বিকল একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স মেরামত হচ্ছে না। রোগীর পরিবারের লোক বাইরে থেকে অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করছেন। সংগঠনের কর্ণজোড়া সিএমওএইচ ইউনিটের সভাপতি হিমাংশুকুমার সাহা বলেন, “স্থায়ী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিয়োগ-সহ ১৬ দফা দাবি মানা না হলে আন্দোলন চলবে।” এমপ্লয়িজের জেলা সম্পাদক সুযশ মুখোপাধ্যায় বলেন, “বহুবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সমস্যার কথা জানিয়েও লাভ হয়নি। গত ২ জানুয়ারি সমস্ত অভিযোগ, দাবি এবং আন্দোলনে নামার কথা জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানানো হয়েছে।” জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (৩) আনোয়ার হোসেন বলেন, “কর্মী আধিকারিকের অভাবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে ঠিকই। সমস্ত কিছুই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে।”

অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগে বৈধতা নেই কোচবিহারে
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের পক্ষ থেকে বেআইনি কার্যকলাপের যে সব অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তার কোনও বৈধতা নেই বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের কাছে কোচবিহারের জেলাশাসক যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তার ভিত্তিতেই বুধবার বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার এই রায় দেন। আবেদনকারীরা যাতে কাজে যোগ দিতে পারেন, আদালত তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকারকে। গত বছর সারা রাজ্যে কম বেশি তিন হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। কোচবিহার জেলাতেই নিযুক্ত হয়েছিলেন প্রায় ২০০ কর্মী। কিন্তু এই কর্মী নিয়োগ নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যদিও জেলাশাসকেরা নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও কারচুপি হয়নি বলে আগেই জানিয়েছিলেন। কিন্তু নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র ওই সমস্ত নিয়োগকে অবৈধ বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। তার জেরে বিভিন্ন জেলার কয়েক হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে জেলাশাসকেরা ওই নিয়োগ সম্পর্কে তদন্ত করেন। এ দিন হাইকোর্টে কোচবিহার জেলার মামলাটির শুনানি হয়। সেখানে কোচবিহারের জেলাশাসক তাঁর রিপোর্টে দাবি করেছেন, সঠিক পদ্ধতি মেনেই কোচবিহার জেলার কর্মীদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। ঘুষ নিয়ে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে বলে তদন্তে প্রমাণ মেলেনি। আবেদনকারীদের আইনজীবী গৌতম ঠাকুর জানান, হাইকোর্ট কোচবিহার জেলার আবেদনকারীদের জন্য এ দিন রায় দিয়েছে। চূড়ান্ত শুনানির পরে অন্য আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেও রায় দেওয়া হবে।

শুরু হল বইমেলা
উদ্বোধনের ছবিটি তুলেছেন রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কচিকাঁচাদের ছোটবেলা থেকেই বই পড়ায় উৎসাহ দেওয়ার জন্য আর্জি জানালেন কবি বেণু দত্তরায়। বুধবার বুধবার হলদিবাড়ি বইমেলার উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, “অবক্ষয় রুখতে বই হাতিয়ার। প্রতিটি শিশুকে বই পড়ায় উৎসাহিত করা দরকার।” বইমেলার উদ্বোধনের দিন পাঁচটি ক্ষুদ্র পত্রিকা এবং দুটি কাব্যগ্রন্থের উদ্বোধন করেন কবি বেণুবাবু। ক্ষুদ্র পত্রিকাগুলি হল বীক্ষণ, অপরাজিতা, ঊর্মিকা, আন্তরিক এবং এক টুকরো আকাশ। কাব্যগ্রন্থ দুটি হল ‘বাতাসপালক ও ঝরাপাতা’ এবং ‘পাগল হাঁটা পথে’। বইমেলার উদ্বোধনের দিনে একটি শ্রুতি নাটক অনুষ্ঠিত হয় নাম ‘ধরিত্রী ও বিশ্ব বিবেক’। শ্রতি নাটকে অংশ নেন দেবাশিস ভট্টাচার্য্য এবং লক্ষী নন্দী। সন্ধ্যায় বিবেকানন্দ যুব মহামন্ডলের পক্ষ থেকে স্বামী বিবেকানন্দর ওপর একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। তার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

কোচবিহার জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় আড়াই দিনের মাথায় স্বাভাবিক হল জেলা পূর্ত দফতরের কাজকর্ম। গত এক বছরের ৪০ কোটি টাকার পাওনার দাবিতে গত সোমবার থেকে পূর্ত দফতরের অফিস অচল করে আন্দোলনে নামে ঠিকাদারদের সংগঠন। আন্দোলনের জেরে বুধবার সকালেও দফতরে ঢুকতে পারেননি কর্মী ও আধিকারিকেরা। এ দিন দুপুরে পূর্ত দফতরের কর্তা এবং আন্দোলনকারী ঠিকদারদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সি মরুগন। বৈঠক থেকেই পূর্ত দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলেন পূর্ত ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা। বকেয়া মেটানোর আশ্বাস দিলে আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কোচবিহার কন্ট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, “বকেয়া মেটানোর ব্যাপারে পূর্ত দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত যতটা সম্ভব টাকা মেটানোর ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে।” পূর্ত দফতরের কোচবিহারের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আশিস সাহা বলেন, “আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে বকেয়া মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে বলে আশা করছি। এদিন দুপুর থেকে দফতরের কাজকর্ম স্বাভাবিক হয়েছে।” ঠিকাদারদের সংগঠনের সম্পাদক মৃণাল ভদ্র বলেন, “প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত রাখছি। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে বকেয়া না পেলে ফের আন্দোলন শুরু করব।”

অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা
বড়সড় অগ্নিকান্ডের হাত থেকে রক্ষা পেলেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের একটি বাসের যাত্রীরা। বুধবার দুপুরে তুফানগঞ্জ থানার ভেলাকোবা এলাকায় নিগমের কোচবিহার-তুফানগঞ্জগামী একটি সুপার বাসের ইঞ্জিনে আগুন লাগে। ওই ঘটনার জেরে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামলাতে স্থানীয় বাসিন্দারা পাম্প চালিয়ে পাইপ দিয়ে জল দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। পরে তুফানগঞ্জ দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য আগুন লাগে। বাস কর্মী, স্থানীয় মানুষ ও দমকলের তৎরতায় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। পরে অন্য একটি বাসে যাত্রীদের নিয়ে যাওআ হয়।” এনবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরে কোচবিহার বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই বাসটি তুফানগঞ্জে রওনা হয়। তাতে ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। বাসটি মারুগঞ্জের কাছে ভেলাকোবা যেতেই চালকের আসনের কাছ থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন। কয়েকজন যাত্রী ইঞ্জিনে আগুন জ্বলতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ওই বাসের এক যাত্রী বলেন, “আগুন যে চেহারা নিয়েছিল তাতে স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত জলের ব্যবস্থা না করলে গোটা বাসটির ক্ষতির আশঙ্কা ছিল।”

বন্দি উধাও বালুরঘাটে
হাসপাতাল থেকে ফের চিকিৎসাধীন এক বন্দি পালানোর ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুর আড়ইটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। পলাতক ওই বন্দির নাম দীপঙ্কর সরকার। ধর্ষণের অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত বছর পঁচিশের ওই বন্দিকে মঙ্গলবার দুপুরে পেটের ব্যথা ও বমির উপসর্গ নিয়ে বালুরঘাট সংশোধনাগার থেকে হাসপাতালের পুরুষ বিভাগে পুলিশ পাহারায় ভর্তি করানো হয়। এদিন তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। দুপুরে কর্তব্যরত জেলকর্মীদের নজরে আসে দীপঙ্কর উধাও। পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ বলেন, “বন্দির বাড়ি-সহ সব জায়গায় তল্লাশি চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” চার মাসে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন তিন বন্দি পালানোর ঘটনা ঘটল। হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মন্ডল বলেন, “হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের সঙ্গেই বন্দিদের রাখতে হয়। ফলে নজরদারি চালাতে সমস্যা হয়। কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, “তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে বন্দিদের আলাদা সেল গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”

দুর্ঘটনায় মৃত
পথ দূর্ঘটনায় এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে উত্তর দিনাজপুর জেলার কানকি পুলিশ ফাঁড়ির মনোরা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতার নাম রাজদানি খাতুন (১৪)। তার বাড়ি ওই এলাকায়। বাড়ির পাশে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা মারে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.