তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলতন্ত্রের অভিযোগ তুলে জেলা বইমেলা বয়কট করলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের সভাধিপতি মাগদালিনা মুর্মু। আমন্ত্রণপত্রে নামের তালিকায় তাঁকে গুরুত্ব না-দেওয়ার অভিযোগ এনে বুধবার তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মঙ্গলবার বালুরঘাটে আয়োজিত বইমেলা উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে তিনি যাননি। মেলা চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। সাত দিন ধরে চলা ওই মেলায় একদিনও যাবেন না বলে এ দিন জেলাপরিষদে বসে সাফ জানিয়ে দেন। সভাধিপতি বলেন, “আমন্ত্রণপত্রে তৃণমূল বিধায়ক বিপ্লব মিত্রের নামের পরে আমার নাম রাখা হয়েছে। এটা সভাধিপতি পদের অমর্যাদা। এমনকী বইমেলার সভাগুলিতেও আমাকে ডাকা হয়নি। পুরো দলতন্ত্র চলছে। তাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাইনি। এ বার বইমেলায় যাব না।” |
বুধবার বালুরঘাটে ছবিটি তুলেছেন অমিত মোহান্ত। |
মেলা অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি তথা তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি বিপ্লব খাঁ সভাধিপতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “দলতন্ত্রের কোনও প্রশ্ন নেই। বইমেলার প্রস্তুতি সভায় চিঠি দিয়ে সভাধিপতিকে ডাকা হয়েছে। তিনি আসেননি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁকে দুই মন্ত্রী, সাংসদের পরে চতুর্থ স্থানে সংবর্ধনার তালিকায় রাখা হয়েছিল। কেন এলেন না জানি না।” কার্ডে বিধায়কের পরে নাম রাখা প্রসঙ্গে বিপ্লববাবু জানান, আরএসপি সাংসদ প্রশান্তবাবুর নামও নিচে ছিল। কিন্তু তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মানবেশ চৌধুরী অবশ্য বলেন, “সাংসদের উপস্থিতি আরএসপি-র নিজস্ব ব্যাপার। সব জায়গায় দলতন্ত্র চলছে। বইমেলাও ছাড় পায়নি।” মানবেশবাবুও বইমেলায় যাচ্ছেন না। তবে জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা শিক্ষা স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অমিত সরকার জানান, সভায় ব্যস্ত থাকায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি। তিনি বলেন, “বইমেলায় যাব এবং বই-ও কিনব।” |