প্রাক্তনদের স্বাস্থ্যবিমা নবীকরণে ‘গড়িমসি’ ইস্কো কুলটি ইউনিটে
র্তৃপক্ষের গড়িমসিতে ভেস্তে যেতে বসেছে ইস্কো স্টিল প্ল্যান্টের কুলটি ইউনিটের প্রাক্তন শ্রমিক-কর্মীদের স্বাস্থ্যবিমার পুনর্নবীকরণ। এমনই অভিযোগ সিটু এবং আইএনটিইউসি-র। দুই শ্রমিক সংগঠনেরই দাবি, দ্রুত এই নবীকরণ প্রক্রিয়া চালু করার হোক। কর্তৃপক্ষ জানান, দ্রুত প্রক্রিয়া শুরু হবে।
কুলটি ইউনিটের প্রায় তিন হাজার প্রাক্তন শ্রমিক-কর্মী রয়েছেন। প্রতি বছর সেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের মেডিক্যাল বুক এবং স্বাস্থ্যবিমা পুনর্নবীকরণ করায়। কুলটি কারখানাটি ইস্কোর পুরনো ইউনিট হওয়ার সুবাদে ইস্কো স্টিল প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ এই কাজটি করে দেন। শ্রমিক সংগঠনগুলি জানায়, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত সেই কাজ শুরুই করতে পারেননি ইস্কো কর্তৃপক্ষ। এর জন্য কর্তৃপক্ষের গড়িমসিকেই দায়ী করেছেন শ্রমিক নেতারা। আইএনটিইউসি-র কুলটি শাখার সহ-সভাপতি দিলীপ দেওঘড়িয়ার অভিযোগ, “কতৃর্পক্ষের কোনও হেলদোল নেই। তাঁদের গাফিলতিতেই নবীকরণ প্রক্রিয়া ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, তাঁরা এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে সম্প্রতি দরবারও করেছেন। কিন্তু কোনও সদুত্তর মেলেনি। সিটু নেতা সুজিত ভট্টাচার্য বলেন, “প্রতি বছরই এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করছেন। এর ফলে শ্রমিক-কর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।” তিনি জানান, জানুয়ারি মাসের মধ্যে পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়া শেষ না হলে তাঁরা আন্দোলনে নামবেন।
সম্প্রতি এই দাবি নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেন কারখানার প্রাক্তন শ্রমিক-কর্মীরা। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কুলটি ইউনিটের সিনিয়র ম্যানেজার (পার্সোনেল) রাজীব কুমার বলেন, “আমরা ইস্কো স্টিল প্ল্যান্টের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি।” তিনি জানান, সংস্থার বার্নপুর কারখানার আধিকারিকেরা কুলটিতে এসে পুনর্নবীকরণের কাজ করবেন। চলতি মাসের মধ্যেই প্রক্রিয়াটি শেষ করে ফেলা হবে। প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ৩১ মার্চ ইস্কোর কুলটি ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়। এর পাঁচ বছর পরে কারখানাটি সেল গ্রোথ ডিভিসনের আওতায় নিয়ে গিয়ে ফের চালু করা হয়। তখন থেকেই গ্রোথ ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে কুলটি কারখানার প্রাক্তন শ্রমিক-কর্মীদের স্বাস্থ্যবিমা পুনর্নবীকরণের কাজটি হয়ে আসছে। এ বার কেন তাঁরা এই কাজ করছেন না, সে প্রশ্নে সেল গ্রোথ ডিভিশনের কুলটি ইউনিটের ডিজিএম কৃষ্ণকান্ত তিওয়ারি বলেন, “আমরা উদ্যোগী হয়ে ইস্কো স্টিল প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। আশা করছি সপ্তাহখানেকের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.